রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে এই শাসকনেতার। একদা ইডির হানার মুখে পড়ে তিনিই মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়ে সন্দেহের শীর্ষে স্থান পেয়েছিলেন। এই মুহূর্তে সেভাবে তিনি খবরের শিরোনামে না থাকলেও, দলের কাছে কি ব্রাত্য হয়ে পড়লেন তিনি ? তবে তাঁকেও গুণতে হচ্ছে মাশুল ? এবার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে বাদ দিয়েই সাংসদ ইউসুফ পাঠান-সহ অন্যান্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বিজয়া সম্মেলনী হওয়ায় মোড় নিয়েছে বিতর্ক।


বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে বাদ দিয়েই সাংসদ ইউসুফ পাঠান-সহ অন্যান্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। স্থানীয় ও জেলা নেতৃত্বের ঘোষণা রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতোই, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে কোনও সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে দেওয়া হবে না । তিনি শুধুমাত্র বিধায়ক হিসেবেই তার দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও জীবন কৃষ্ণ সাহা বলেন,' দলের এই ধরণের কোনও নির্দেশ, তাঁর জানা নেই। এবং তিনি বিজয়ী সম্মেলন মঞ্চে ডাক পাননি। তাই যাননি। এদিকে এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-এর পর  ED-র নজরে পড়েন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। CBI-এর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পাওয়ার ৩ মাসের মাথায় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।ED সূত্রে খবর, নবম-দশমে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় তলব করা হয়েছিল বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি,এই মামলায় আর্থিক লেনদেনের তথ্য়প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।জীবনকৃষ্ণর মাধ্য়মে কয়েক জনের চাকরি হয়েছিল বলেও জানা গেছে। 


আরও পড়ুন,'আবাস' তালিকায় 'প্রকৃত প্রাপকদের নাম বাদ..'! সমীক্ষার শুরুতেই বিক্ষোভ রায়দিঘিতে
 
 নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ১৪ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণর কান্দির বাড়ি ও দোকানে হানা দিয়েছিল CBI . রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি ।তল্লাশি শুরু হওয়ার পরই তৃণমূল বিধায়ককে নজরবন্দি করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তল্লাশি চলাকালীন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে পুকুর ছেঁচে মোবাইল ফোন দুটি উদ্ধার করা হয়েছিল।এরপর গত বছরের ১৭ এপ্রিল ৬৭ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছিল CBI. গত বছরের জুলাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গ্রেফতারির ১৩ মাস বাদে চলতি বছরের ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।