Nabanna Abhijan: 'রাজ্য সরকারের চাপে অভয়ার মা-কে ভর্তি নেয়নি মেডিকা হাসপাতাল', বিস্ফোরক অভিযোগ নিহত চিকিৎসকের বাবার। 'শনিবার থেকে আজ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে অভয়ার মায়ের। চিকিৎসা শুরু হলেও তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি', বর্তমানে স্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল, জানান নিহত চিকিৎসকের বাবা। 'হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাব'। 

আর জি কর কাণ্ডের এক বছর পার হয়েছে। মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন আর জি করের নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। অভিযোগ, সেখানে পুলিশের হাতে মার খেতে হয়েছে অভয়ার মা-কে। আহত অবস্থায় অভয়ার মা-কে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের বেসরকারি মেডিকা হাসপাতালে। অভয়ার বাবা বলছেন, 'ডাক্তাররা মোটামুটি জানিয়েছেন, আউট অফ ডেঞ্জার। সেই জন্য আমরা বলেছি হাসপাতালে থাকা তো অসুবিধার, আমরা আর হাসপাতালে থাকব না। দুপুরের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যাব। আমাদের সঙ্গে ডাক্তাররা তো সবসময়ই যোগাযোগ রাখছেন। চিকিৎসার কোনও অসুবিধা হবে না।' অভয়ার বাবা আরও জানিয়েছেন, গতকাল যখন অভয়ার মা-কে মেডিকা হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তখন পরিস্থিতি বেশ খারাপ ছিল। ডাক্তাররাও আতঙ্কে ছিলেন। তবে এখন অভয়ার মা ভাল আছেন। সকাল থেকে হাঁটতে পারছেন। ধরে হাঁটাতে হচ্ছে না। 

অভয়ার বাবার অভিযোগ, 'এখানকার অনেকে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আমার মেয়েকে অনেকে চিনতেনও। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন আমাদের উপর সরকারি চাপ আছে। কাল হাসপাতালে আসার পর থেকে একটা পুলিশের গাড়ি এবং ২ জন পুলিশ বসে রয়েছেন এখানে। আমি জিজ্ঞেস করি আপনারা এখানে কেন? ওনারা বলেন আমাদের ওপর উপর থেকে আদেশ আছে। আমি জিজ্ঞেস করি, কী ধরনের আদেশ? ওনারা বলেন সেটা বলতে পারব না। আমি এও বলি আপনারা কি আমাদের পাহারা দিচ্ছেন নাকি আমার স্ত্রী কখন মারা যাবেন সেটা জানতে বসে আছেন? ওনারা বলেন আমি ওরকম বলছেন? আমাদের কি মানবিকতা নেই? কিন্তু আমরা ডিউটি করছি, সেই মতো কাজ করতে হবে। ডাক্তাররা স্পষ্ট বলছেন, আমাদের উপর চাপ রয়েছে, ভর্তি রাখতে পারব না। সেটা প্রথমে বলেনি। অনেক রাতে বলেছে। তখন আর কোথাও যাওয়া সম্ভব ছিল না।' 

অভয়ার বাবা জানিয়েছেন, 'গতকাল হাসপাতালে অভয়ার মা-কে আনার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসা হয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যে সিটি স্ক্যান হয়। ডাক্তার এসে দেখে বলেন হয়তো ২ দিন ভর্তি রাখতে হবে। আমি বলি এমন একটা ঘর দেবেন যাতে আমিও থাকতে পারি। কারণ ওকে ছেড়ে আমি কোথাও যাব না। তবে ডাক্তার চলে যাওয়ার পর হাসপাতালের প্রশাসনের তরফে গড়িমসি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বলা হয়, ভর্তি করার দরকার নেই। আমি তখন বলি ডাক্তারবাবু যে বলে গেলেন... এরপর আমরা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। উনি বলেন, ওনাদের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তখন আমি বলি এত রাতে বলছেন, আগে বললে কোথাও নিয়ে যাওয়া যেত। ডাক্তার জানান যে ওষুধ দেওয়া হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উনি ঠিক হয়ে যাবেন। সরকারের তরফে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে এটা স্পষ্ট।'