সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর : নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের (Shantipur) আড়বান্দি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন দলেরই ৮ জন সদস্য। তাঁদের অভিযোগ, ইচ্ছেমতো কাজ করেন তিনি। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি পঞ্চায়েত প্রধান। অনাস্থা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


পঞ্চায়েত পরিচালনায় সদস্যদের পরামর্শ নেন না। কোনও কাজে সহযোগিতাও করেন না প্রধান। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগে সরব হচ্ছিলেন দলীয় সদস্যরা। একধাপ এগিয়ে এবার, নদিয়ার শান্তিপুরের আড়বান্দি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলের ৮জন পঞ্চায়েত সদস্য। ইতিমধ্যেই তাঁরা চিঠি দিয়েছেন বিডিওকে।


আড়বান্দি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য নাজিরা বেগম শেখ বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান নিজের মতো করে গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনা করেন। পঞ্চায়েত সদস্যদের কোনও মতামত নেন না। এছাড়া পঞ্চায়েত সদস্যদের কোন কথাও তিনি শোনেন না। তাই বাধ্য হয়ে শান্তিপুর বিডিওর কাছে অনাস্থা এনে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

শান্তিপুর ব্লকের আড়বান্দি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৫। বিজেপির ৫ জন ছাড়া প্রত্যেকেই তৃণমূলের সদস্য। তৃণমূলের সেই ১০ জন সদস্যের মধ্যে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন ৮ জন।


আড়বান্দি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূল নেত্রী অলিভিয়া সন্ন্যাসী বলেন, পঞ্চায়েত সদস্যদের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে ওদের। পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজই ওই সদস্যদের নিয়ে ঠিক করা হয়। তাই ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

যে কোনওদিন ঘোষণা হতে পারে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট। তার আগে প্রধানকে ঘিরে দলীয় সদস্যদের একাংশের অসন্তোষকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির এসসি মোর্চার সভাপতি অঙ্কন সরকার বলেন, শুধু এই গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতেই একই চিত্র। তৃণমূলের এ-টিম বনাম বি-টিমের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব।


যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, কোনও ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এটা দলীয় কোনও ব্যাপার নয়। যদি কোনও ব্যক্তি সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে না পারেন, তাহলে এটা হতে পারে। তবে আমাদের দলের শৃঙ্খলা আছে, অনুশাসন আছে। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে শান্তিপুরের বিডিও জানিয়েছেন, চিঠি খতিয়ে দেখে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।