প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হল। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতে। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল বেঁধে যায় চারিদিকে। বিরোধী বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি ও বাঁশ দিয়ে তাঁদের বেধড়ক মারধর করেছে। শুধু তাইই নয়, এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি শিবির। 


জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ টি আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১২ টি আসন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি ১টি করে আসনে জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ টি তে। অভিযোগ এই দিন পঞ্চায়েতের উপ সমিতি বোর্ড গঠন করতে গিয়ে তৃণমূল সমর্থিত একজন জয়ী সদস্য বিজেপি  সদস্যদের মধ্যে গিয়ে বসে। অভিযোগ ওঠে যে, তৃণমূলের এক সদস্যা বিজেপিকে সমর্থন করতে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এরপর সেই সদস্যার সার্টিফিকেট ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।


বিজেপি সমর্থকরা অভিযোগ তুলেছিলেন যে তৃণমূলের সমর্থকরা তাঁদের মারধর করে। বিরোধী শিবিরের নেতা কর্মীরা সরাসরি আঙুল তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এদিকে, এই ঘটনার পর জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধান মদন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত উপ সমিতির ভোটাভুটি শুরু হলে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের কর্মীরা তাদের এক সদস্যাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে তার ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে ধুন্দুমার কাণ্ড। তার ফলেই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।


যাদবপুরে গেরুয়া ব্রিগেডের কর্মসূচিতে বিক্ষোভ


গোলি মারো স্লোগান উঠল ! ক্যাম্পাস লক্ষ্য করে জুতো প্রদর্শন হল ! বিরোধী দলনেতা আড়ং ধোলাইয়ের হুঙ্কার দিলেন ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গেরুয়া ব্রিগেডের কর্মসূচি ঘিরে এভাবেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি।  যুব মোর্চার বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ নম্বর গেটের সামনে মানববন্ধন করেন অধ্যাপকরা। সামগ্রিক বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্কযুদ্ধ।