সন্দীপ সরকার, কলকাতা: নাকতলায় (Naktala) কিশোরের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক। মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় দেহ সত্‍কার থামিয়ে দিল পুলিশ। শ্মশান থেকে দেহ গেল ময়নাতদন্তে।


অসুস্থ হয়ে মৃত্যু? নাকি বাবা ও সত্‍ মার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, অকালে প্রাণ গেল কিশোরের? নাকতলার (Naktala) বাসিন্দা বছর ১৭-র এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে উঠছে এমনই প্রশ্ন। মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই, দেহ সত্‍কার আটকে দিয়েছে পুলিশ।


মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম স্নেহাংশু সেনগুপ্ত। পরিবার সূত্রে খবর, ছেলেটির যখন ৮ বছর বয়স, তখন তাঁর মা মারা যান। এরপর বাবা ফের বিয়ে করেন। 


আত্মীয়দের দাবি, সত্‍ মা, ছেলেটির ওপর ভীষণই অত্যাচার করতেন। মৃত কিশোরের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, মারাত্মক মারত। লাঠি, রড দিয়ে। এত মারত যে খালি পায়ে নাকতলা থেকে বেহালা চলে আসে। এরইমধ্যে, এই কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ে। 


 ১১ মে তাকে MR বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ মে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে। 


এদিনই দুপুরে কেওড়াতলা শ্মশানে কিশোরের মৃতদেহ সত্‍কারের জন্য নিয়ে যায় তাঁর বাবা ও সত্‍ মা। কিন্তু, তাতে আপত্তি জানান আত্মীয়রা। তাঁরা টালিগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন। এরপরই সত্‍কার প্রক্রিয়া আটকে দেয় পুলিশ। রাতে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় SSKM-এ। 


মৃত কিশোরের আত্মীয়ের কথায়, আমাদের কাছে যতদিন ছিল, ভাল ছিল। নিয়ে চলে গেল। তবে থেকেই খারাপ অবস্থা। যদিও মারধরের অভিযোগ মানতে চাননি কিশোরের বাবা ও সত্‍ মা। 


মৃত কিশোরের বাবা বলছেন, আমরা মারব কেন? আমরাই তো হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মারলে কি হাসপাতালে নিতাম। মৃত কিশোরের সত্‍ মা-র কথায়, মারধর করিনি। সন্তান নেই আমার। ওদেরকেই নিজের সন্তান মনে করি। নেতাজিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মৃত কিশোরের পিসতুতো দিদি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।