সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : আদালতের ( Court )  পরামর্শ মেনে শিক্ষক বদলির ( Teacher Transfer )  ক্ষেত্রে আজ অর্থাৎ শুক্রবারই নতুন গাইডলাইন ( Teacher Transfer Guideline ) জারি করতে পারে রাজ্য, হাইকোর্টে ( Calcutta High Court ) জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।                       


নতুন নির্দেশিকা আসলেই জেলা স্কুল পরিদর্শকদের দ্রুত সেই নীতি বাস্তবায়নের জন্য তৈরি থাকতে বলুন, শিক্ষা দফতরের আইনজীবীকে পরামর্শ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এর আগে স্কুলে শিক্ষক বদলি নীতি নিয়ে বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ( Justice Biswajit Basu ) । তিনি বলেছিলেন, ' যেখানে ছাত্র নেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আছে সেখান থেকে শিক্ষক অন্যত্র বদলি করুন, শিক্ষক কম রয়েছে এমন স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে যাওয়ার বিরোধিতা কোনও শিক্ষক করলে তাঁকে বরখাস্ত করুন। ' কিছুদিন আগে এই মত প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি বসু। ' সবাই বাড়ির পাশের স্কুলে বদলি চাইলে স্কুল চলবে কী করে? ' মন্তব্য করেছিলেন তিনি। রাজ্যকে বদলি নীতিতে বদল আনার অনুরোধ করেছিলেন বিচারপতি বসু।                                 


জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।   শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য 'প্রশাসনিক বদল' গাইডলাইন মানতে হবে শিক্ষকদের। এই আইনে যে কোনও শিক্ষককে যে কোনও জায়গায় বদলি করতে পারে শিক্ষা দফতর। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শের পর, এই সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় সে দিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন,  কোনও জঙ্গল-আইন চলতে পারে না। যত শিক্ষক বদলির মামলা আছে, এবার থেকে সেই সব মামলার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে। কলকাতার কোনও স্কুলে ছাত্র না থাকলে, শিক্ষককে হাওড়ায় যেতেই হবে।  শিক্ষা দফতর নির্দেশ দেওয়ার পর, ৭ দিনের মধ্যে তা পালন করতে হবে। শিক্ষক যদি নির্দেশ পালন না করেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে শিক্ষা দফতর।       

আরও পড়ুন : 


ওয়েবসাইটে নাম দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিতেন কুন্তল, তারপরই তা উধাও ! দাবি CBI-র


            


এর আগে, শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন,  শিক্ষকদের বেতন-সহ অন্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকার থাকলে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই আদালত ওই পড়ুয়াদের জন্য চিন্তিত। এবার, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।