আবির দত্ত, নিমতিতা: ফের বিস্ফোরণে ছক সাজানো হল নিমতিতায়। তবে এবার সীমান্ত এলাকায়। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে একাধিক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে তাজা বোমা। সেনাসূত্রে খবর, চোরাচালানকারীরা বড়সড় নাশকতার ছক সাজাচ্ছিলেন। যদিও বাহিনীর সতর্কতায় সেই ঘটনা রুখতে পারা গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
শনিবার দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে বিএসএফ-এর ৭৮ ব্যাটেলিয়ন জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পায় দেশি বোমার বিষয়ে। সীমান্ত কর্মরত সেনারা নিমতিতা এলাকার স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে মিলে অভিযান চালিয়ে ৩০টি দেশি বোমা উদ্ধার করে। জলাধিপুর, লিচু বাগান, নিমতিতার এলাকা থেকে খুঁজে উদ্ধার করা হয় ওই বোমগুলি। এগুলি দিয়েই বড় নাশকতার ছক সাজাচ্ছিল জঙ্গিগোষ্ঠী এমনটাই মত।
বিএসএফ-এর গোয়েন্দা শাখা একটি তথ্য পায় যে জলাধিপুর, লিচু বাগানে কিছু সন্দেহজনক স্থানে ৩০টি দেশি বোমা লুকানো আছে। যা জোর করে পাচারের জন্য বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সীমান্ত চৌকি নিমতিতার কোম্পানি কমান্ডার, একটি বিশেষ দল গঠন করেন। সামসেরগঞ্জ পুলিশ দলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই বাহিনীতে। এই যৌথ অভিযানে সারা রাত জুড়ে পুরো এলাকায় তল্লাশি চালানোর পরে ৩০টি দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি বোমা উদ্ধার করা হয় ।
বাজেয়াপ্ত বোমাগুলিকে পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সঠিক ও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। সেখানেই সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ৭৮ ব্যাটেলিয়ন এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার, শ্রী বিশ্ববন্ধু বলেন যে এই এলাকাটি ডিউটির জন্য খুবই বিপজ্জনক। বাহিনীকে সবসময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়। যেখানে চোরাচালানকারীরা জোরপূর্বক চোরাচালানের জন্য জওয়ানের উপর ধারালো অস্ত্র, পাথর, লাঠি এবং দেশীয় তৈরি বোমা ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদের ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দল কোন অপ্রীতিকর ঘটনার আগেই চোরাচালানকারীদের পরিকল্পনা নষ্ট করে দেয়। তিনি আরও স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তিনি তাঁর এলাকায় কোনো ধরনের চোরাচালান করতে দেবেন না।