সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দেগঙ্গায় সেলাই কারখানায় বিস্ফোরণ (Denga Blast) । দেগঙ্গা নুরনগরে আজ সকালে ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই কারখানার কম্প্রেসারে বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম কারখানার এক শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital)।
সম্প্রতি আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। মহেশতলায় বাজি কারখানায় (Maheshtala Blast) ভয়াবহ বিস্ফোরণে একাধিক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় এক বাজি কারখানায় (cracker factory fire) বিস্ফোরণ ঘটেছিল বলে খবর। কারখানার মালিক ভরত হাতির স্ত্রী লিপিকা ও পুত্র শান্তনু মারা যান। মৃত্যু হয়েছিল প্রতিবেশী এক কিশোরীরও। নোদাখালি, পাঁশকুড়া, মহেশতলার পরে এবার দেগঙ্গায় সেলাই কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
যদিও মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে বসতবাড়িতে কী ভাবে বাজি কারখানা চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা। প্রশ্ন উঠেছিল প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। তাদের চোখের সামনে দিয়ে কী ভাবে জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানা চলছিল? যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখানে কারখানা ও গুদাম থাকায় তা আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও ছিল। সূত্রের খবর, কারখানার ভিতর পটাশিয়াম, সোডিয়াম জাতীয় রাসায়নিক রাখা ছিল। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আশঙ্কাও ছিল।সেবার দমকলকর্মীদের একাংশের দাবি ছিল, আগুন নেভানোর জন্য় জল দিতে গিয়েও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছিলেন তাঁরা। আগুন খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন দমকলের ডিজি অভিজিৎ পাণ্ডে।
তবে শুধু নিছকই বিস্ফোরণ নয়, বিস্ফোরণের সঙ্গে রাজনৈতিক ইস্যু জড়িয়ে পড়ার ঘটনা রয়েছে ভুরিভুরি। ভয়াবহ বিস্ফোরণের মুখোমুখি হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে তখন তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এরই মাঝে ফেব্রুয়ারি ২৫ তারিখ, কলকাতা আসার পথ ধরেছিলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। জাকির হোসেন। নিমতিতা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দিয়ে হেঁটে আসছিলেন তিনি। হঠাৎ আলোর ঝলকানি। তারপর সব অন্ধকার। একেবারে মন্ত্রীর সামনে এসে পড়ে বোমা। গুরুতর জখম জাকিরকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। ওই বিস্ফোরণে জখম হন জাকির হোসেনের সঙ্গী-সহ অনেকে।
আরও পড়ুন, ধৃতকে জেরা করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে ! বিপদ এড়াল বীরভূম
ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলিতে কারখানার ভিতর কাজ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তাতে ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়, এবং আহত হন ২ জন। যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার কারণ কী ? কী জাতীয় জিনিস কাটা হচ্ছিল ? মূলত তাই খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। চলছিল নমুনা সংগ্রহের কাজ। তবে এখানেই শেষ নয়, বছরের শুরুতেই নন্দকুমারের একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। নন্দকুমারে বরফকলে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডারে (Ammonia Gas Cylinder) বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু কারখানার মালিকের।