সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ইছাপুরের কিশোরের মৃত্যু পর প্রায় ১৪ মাস অতিক্রান্ত। অবশেষে মৃতের পরিবার জানতে পেরেছে কোভিড ছিল না উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে, পাশে থাকার বার্তা দিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। যদিও শাসক দলের অভিযোগ, এই নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।


মৃত্যুর আগে করোনা রিপোর্ট ছিল পজিটিভ। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের কিশোরের মৃত্যুর প্রায় ১৪ মাস পর জানা গেল, নেগেটিভ! মৃত্যুর কারণ জানতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। সম্প্রতি তাদের হাতে আসে আরটিপিসিআর রিপোর্ট। তাতেই দেখা যায় কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। অথচ, শুভ্রজিতের মৃত্যুর আগে একটি নার্সিংহোম পরিবারকে জানিয়েছিল, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ।


রবিবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অর্জুন সিংহ। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। মৃত ছাত্রের মা শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সাংসদ দুটো রিপোর্টে দেখেন,সত্যের জয় হয়েছে, উনি আশ্বস্ত করেন যাতে ভবিষ্যতে সুবিচার পাই।’


ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে, পরিবারের পাশে আছি, এই সরকারের কাছে ন্যায় পাওয়ার ব্যাপার নেই, যে জায়গায় সাহায্য দরকার আমরা তাদের সাহায্য করব।’


ইছাপুরের ঘটনায়, বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। গত বছরের, ১০ জুলাই কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় ইছাপুরের বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযোগ, চারটি হাসপাতাল ঘুরে বিনা চিকিৎসায় মারা যায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ছেলের মৃত্যুর সুবিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন চট্টোপাধ্যায় দম্পতি।


পরিবারের অভিযোগ, নমুনা সংগ্রহের ৫ মিনিটের মধ্যেই বলা হয়, শুভ্রজিত্‍ করোনা-আক্রান্ত। যার জেরে ১২ ঘণ্টা ধরে ৪টি হাসপাতালে ঘোরার পর পুলিশের সহযোগিতায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। 


চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মিডল্যান্ড নার্সিংহোম, কামারহাটি ইএসআই, সাগর দত্ত হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে পরিবার। মৃত ছাত্রর আরটি-পিসিআর ও ভিসেরা টেস্টের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরিববার সূত্রে দাবি, সেই আরটিপিসিআর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ছিল না শুভ্রজিত্‍।