সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: কোভিড বিধি (Covid Restriction) উড়িয়ে বারাসাতের (Barasat) বাদুতে পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই চলল জলসা। অধিকাংশ দর্শকেরই মুখে ছিল না মাস্ক। উধাও দূরত্ব বিধি। স্থানীয় কোঅর্ডনিটরের দাবি, তিনি বারণ করলেও শোনেননি আয়োজকরা। এই নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। গানের তালে, উদ্দাম নাচ!


উল্লাস, সঞ্চালক থেকে গায়ক বা দর্শক, অধিকাংশেরই মুখে নেই মাস্ক। 
সামাজিক দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে চলছে অনুষ্ঠান। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসাতের বাদুতে, এই গোটা অনুষ্ঠানই হয়েছে পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায়!


এ ছবি দেখলে কে বলবে, দেশের দৈনিক সংক্রমণ ফের প্রায় এক লক্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। কলকাতার পিছু নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার দৈনিক সংক্রমণ আড়াই হাজার পেরিয়ে গেছে। পুজোকে কেন্দ্র করে এই জলসার আয়োজন করা হয়েছিল বাদু ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলল এই অনুষ্ঠান।


যা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর একটা বড় অংশ। বারাসাতের বাসিন্দা স্বপন ঘোষ জানিয়েছেন, এটা করা একদম ঠিক নয়। এগুলো বন্ধ হোক। মানুষ সচেতন না হলে আরও বিপদ বাড়বে। এগুলো অন্যায়। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে জারি করে বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব তো প্রশাসনের! 


প্রশাসন কই? স্থানীয় কোঅর্ডিনেটরের দাবি, তিনি বারণ করলেও তাঁর কথা শোনেননি আয়োজকরা। বারাসাত পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর পান্নালাল বসুর কথায়, আমি বারবার বারণ করেছিলাম। ফোন করে বলেছিলাম। আমরা কেউ যাইনি। বারণ করলেও, তারা অগ্রাহ্য করছে। পুলিশের কথাও শোনেনি। পুলিশের অনুমতি ছিল না।


যদিও এ নিয়ে সাফাইয়ের সুর উদ্যোক্তাদের গলায়! অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কোঅর্ডিনেটর তাপস মোদকের দাবি, অনেকদিন আগে থেকে ঠিক ছিল। প্রোগ্রাম যারা দেখতে আসে তাদের মাস্ক পরতে বলি। আমরা চেষ্টা করেছি সবাইকে মাস্ক দেওয়ার জন্য।


স্থানীয় কো অর্ডিনেটরের দাবি, পুলিশের অনুমতি না নিয়েই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাহলে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে এই অনুষ্ঠান চললেও, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? সেই প্রশ্নই তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ।