Gaighata: গাইঘাটায় চিকিৎসকের আত্মীয়াকে 'কটূক্তি', শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ, আক্রান্ত চিকিৎসকও
Gaighata News: গাইঘাটা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে নিজের এক বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আক্রান্ত চিকিৎসকের বোন। সেই সময় এলাকার কিছু যুবকরা তাঁদের দেখে কটূক্তি করেন।

সমীরণ পাল, গাইঘাটা: দুর্গাপুর, উলুবেড়িয়ার পর এবার গাইঘাটা। সেখানে চিকিৎসকের আত্মীয়াকে 'কটূক্তি'। এছাড়া কটূক্তির পাশাপাশি ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহেরও অভিযোগ। জানা গিয়েছে নিগ্রহের শিকার মাসতুতো বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসককেও। মারধরে রক্তাক্ত হয়েছেন সেই চিকিৎসকর। ঠিক কী হয়েছিল?
গাইঘাটা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে নিজের এক বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আক্রান্ত চিকিৎসকের বোন। সেই সময় এলাকার কিছু যুবকরা তাঁদের দেখে কটূক্তি করেন। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেই মহিলা ও তাঁর বন্ধুকে আক্রান্ত হতে চলেছে। শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয় তরুণীকে। এরপর সেই তরুণী তাঁর চিকিৎসক দাদাকে ফোন করে বিষয়টি জানালেন, সেখানে ছুটে আসেন তিনি। এরপর সেই চিকিৎসককেও মারধর করা হয়। তাঁর ওপর যুবকরা চড়াও হন। এরপর সবাইকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গিয়েছে আক্রান্ত তরুণীর গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকার সেই চিকিৎসকের মাসতুতো বোন। সম্প্রতি চিকিৎসকদের বারবার আক্রান্ত হতে হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। মহিলা চিকিৎসক হলে দিকে দিকে শারীরিক নিগ্রহের খবর শোনা যাচ্ছে।
আর জি কর ঘটনার রেশ এখনও টাটকা, এবার ফের উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে ঢুকে মহিলা জুনিয়র চিকিৎসককে 'ধর্ষণের হুমকি' দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখনও অপমানে, লাঞ্ছনায়, ঘটনার আকস্মিকতায় ত্রস্ত ওই চিকিৎসক। সেদিনের ঘটনার কথা বলতে গেলে দলা পাকাচ্ছে গলায়।হাসপাতালে ঢুকে ওই জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করে, প্রাণে মেরে ফেলা ও ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়, বলা হয় অশ্লীল, বিকৃত, নোংরা হুমকি। এদের মধ্যে একজন উলুবেড়িয়া ট্রাফিকগার্ডে কর্মরত হোমগার্ড। নাম শেখ বাবুলাল(৩৫)। ধৃত আরেক জনের নাম শেখ হাসিবুর (৩৫)। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও, প্রশ্ন উঠছে, এত আন্দোলন, এত প্রতিবাদের পরও এখনও কোত্থেকে আসে এত স্পর্ধা? 'লাঞ্ছিত' চিকিৎসকের কথা শুনলে শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বইতে বাধ্য ! ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের দাবি, ওইদিন সন্ধেবেলায় নিজের ভাইঝিকে নিয়ে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে আসেন অভিযুক্ত শেখ বাবুলাল। তার সঙ্গে ছিলেন শেখ হাসিবুর সহ আরও জনা দশেক লোক। মহিলা জনিয়র চিকিৎসকের দাবি, ওই রোগীর শারীরিক পরীক্ষা করার পর, অসুস্থতা খুব একটা গুরুতর নয় বলে মনে হয় তাঁর। তখন তিনি বলেন, একটু পরে অন্য চিকিৎসক আসবেন, তাঁকে দেখাবেন। অভিযোগ, এরপরই দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা।






















