সমীরণ পাল, বনগাঁ: টাকা দিলেই তৃণমূলে চেয়ারম্যান (Chairman) ও ভাইস চেয়ারম্যান (Vice Chairman) হওয়া যায়। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বনগাঁর (Bongaon) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণা রায়। দলবিরোধী কেউ কিছু বলেছে কি না জানা নেই। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখব। মন্তব্য করেছেন বনগাঁ পুরসভার (Bongaon Muncipality) চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।


চেয়ারম্যানের চেয়ার কে বসবেন? তা নিয়েই বিভিন্ন পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটেই দলকে কাঠগড়ায় তুলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বনগাঁ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায়। যিনি বনগাঁর ৩ বারের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানও। তাঁর অভিযোগ, টাকা দিলেই তৃণমূলে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদ পাওয়া যায়। তিনি বলেন,”পয়সা থাকলেই এই দলে সবকিছু পদ পাওয়া যাবে। পয়সা নিয়ে দৌড়োদৌড়ি করতে হবে। আমরা পারব না। দল আমাদের বারে বারে টিকিট দিয়ে প্রমাণ করেছে যে আমাদের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে, সেই গ্রহণযোগ্যতায় আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে এসেছি, আমাদের পয়সা নেই যে আমরা টিকিট কিনে এনে চেয়ারে বসে পড়ব।‘’


এবার বনগাঁ পুরসভায় তৃণমূল নেতৃত্বের মনোনীত চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আঢ্যকে। নাম না করে তৃণমূল কাউন্সিলর বিস্ফোরণ ঘটালেও, এই নিয়ে সাবধানী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বনগাঁর সদ্য মনোনীত পুরপ্রধান। গোপাল শেঠের কথায়, “দলের কাছে প্রত্যেকেরই দাবি থাকে, দল নিজস্ব কায়দায় চলে, ১৯ জন আমরা যারা জিতেছিলাম, একসঙ্গে শপথ নিয়েছি, আমি কোথাও দেখতে পাইনি যে দলবিরোধী কোনও কথা বা বক্তব্য রেখেছে, যদি বলে থাকে আমি সেটা দেখব, যদি বলে থাকে, কী ইস্যুতে বলেছে, কোন জায়গায় বলেছে, সেটা দেখব।’’ এবিষয়ে বনগাঁ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডলের বলেন, “যদি কৃষ্ণা রায় একথা বলে থাকে, তাহলে দলের লোকই বলছে, নিশ্চয়ই এই ধরনের ঘটনা তাদের দলে ঘটে, না হলে দীর্ঘদিনের ভাইস চেয়ারম্যান তিনি অভিযোগ করছেন, নিশ্চয়ই সত্যতা আছে, তবে ওদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ’’


বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতেই জিতেছে তৃণমূল, ১টি করে আসন জিতেছে কংগ্রেস, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থী। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও, বনগাঁয় তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী এবং প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানের মন্তব্য তোলপাড় ফেলে দিয়েছে সীমান্ত শহরে।


আরও পড়ুন: Malda: প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ সদস্যের বিরুদ্ধে