সমীরণ পাল, হাবড়া (উত্তর ২৪ পরগনা): হাবড়া পুরসভার সদ্য প্রাক্তন প্রশাসকের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তৈরি হল জল্পনা। পোস্টে তৃণমূল নেতা বুঝিয়ে দেন, দুঃসময়ে দলের পাশে থাকলেও, মর্যাদা পাননি। দল যে এধরনের পোস্ট সমর্থন করে না বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক নেতার পোস্ট নিয়ে শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি।


‘লড়ল যারা...গড়লো যারা...


তারা হল পর...


সেটিং করে চললো যারা...


তাদের অনেক দর!’


উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার তৃণমূল নেতা নীলিমেশ দাসের ফেসবুক পোস্ট! সপ্তাহখানেক আগেই যাঁকে সরানো হয়েছে হাবড়ার পুর-প্রশাসকের পদ থেকে! তারপরই সোশাল মিডিয়ায় আক্ষেপ ভরা এই লেখা! কেন, কার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট, সে ব্যাপারে হাবড়ার তৃণমূল নেতা নীলিমেশ দাস কোনও মন্তব্য করেননি! তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, এর নেপথ্যে কাজ করছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।


গত লোকসভার পরে বিধানসভা ভোটেও, হাবড়ার প্রাক্তন পুর-প্রশাসক নীলিমেশ দাসের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লিড পায়নি তৃণমূল! এই নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই নীলিমেশ দাসকে পুর-প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি, প্রশাসকমণ্ডলীতেও তিনি জায়গা পাননি! তার জেরেই কি এই পোস্ট? কারও নাম না থাকলেও, এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হাবড়ার বর্তমান পুর-প্রশাসক।


হাবড়ায় পুরভোট বকেয়া। কবে পুরভোট, তা জানা নেই। যদিও যে যার মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এই অবস্থায় অপসারিত পুর-প্রশাসকের বেসুরো ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির তরজা। বারাসাত সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তপতী দত্ত বলেন, ‘দলের কেউ এধরনের পোস্ট করা ঠিক নয়, দলের মধ্যে থেকে দলের বিরোধিতা করা অন্যায় কাজ।’


জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শেখর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই দলের সম্বন্ধে যত কম বলা যায় তত ভাল, হাবড়ায় নাম মাত্র ভোটে জিতেছে, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমরা পুরভোটে জিতব।’


গোটা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি নীলিমেশ দাস। পরে ফেসবুক পেজ থেকে বিতর্কিত পোস্টটি তিনি সরিয়ে নেন।