সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল এবার। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কালপুর গ্রাম। পুলিশসূত্রে খবর, বনগাঁ থানার ঘাটবাওড় গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়ুইগাছি গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তার স্ত্রী পূর্ণিমা মণ্ডল। তার মেয়ে মৌ মণ্ডল থাকতেন বনগাঁ থানার কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়ের মাঠ এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন পূর্ণিমা মণ্ডল। এর পর শুক্রবার সন্ধেতে হঠাৎই সেখানে পৌঁছয় বিশ্বজিৎ মণ্ডল। এর পর হঠাৎই স্ত্রী পূর্ণিমাকে ছুঁড়ি দিয়ে সজোরে আঘাত করে বিশ্বজিৎ। আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। তৎক্ষণাৎ রক্তাক্ত অবস্থায় পূর্ণিমাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


কেন এমন আক্রমণ, এখনও স্পষ্ট কারণ না জানা গেলেও পূর্ণিমা এবং বিশ্বজিতের মেয়ের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই দু-জনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল'।  ডিভোর্স ফাইলও হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার কিছু কাগজপত্র দিতে আসার কথা ছিল বিশ্বজিতের। সেইমতো মেয়ের বাড়ি পৌঁছন বিশ্বজিৎ। এসেই ঘটনা ঘটান বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের জেরেই কি প্রাণ গেল মহিলার? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মেয়ে মৌ, তাঁর বাবা বিশ্বজিতের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 


নদিয়াতেও কুপিয়ে খুন: গতকালই আরও এক কুপিয়ে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। শেষ পর্যন্ত তা চরমে পৌঁছয়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে স্বামী। এমনই অভিযোগ ওঠে নদিয়ায়। তবে খুনের পর ওই ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ধারাপাড়া গ্রামে। এদিন জমির পাশ থেকে উদ্ধার হয় মহিলার দেহ। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম বন্দনা মুদি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তাঁর স্বামী মুক্তি মুদি। শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের একটি চাষের জমির পাশেই ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় মহিলার দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ বাহিনী। কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।