টিটাগড়, উত্তর ২৪ পরগনা: টিটাগড়ে (Titagarh) সরকারি স্কুলের ছাদে বোমাবাজির ঘটনায় বিস্ফোরক বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুরনো আক্রোশ, না কি অন্য কোনও কারণে বোমা ছোড়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে টিটাগড় থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শিক্ষাঙ্গনে পড়য়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।  ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রাক্তন ছাত্র-সহ গ্রেফতার ৪ জন। এই ইস্যুতে এদিন প্রতিক্রিয়া দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।


এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা তদন্তের দাবি করছি। বোম-বন্দুকে ভরে গিয়েছে। বোম-বন্দুককে কুটির শিল্প মনে হচ্ছে। স্কুলের উপরে বোমা বাস্ট হচ্ছে, সত্যিই এগিয়ে বাংলা ! মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে। স্কুলে বোমব্লাস্ট ভারতবর্ষের খুব কম জায়গাতেই হয়।' প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুলে বিস্ফোরণের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলে ক্লাস চলাকালীন বোমা বিস্ফোরণ হয়।  বেলা প্রায় পৌনে ১২টা নাগাদ, স্কুলে সেকেন্ড পিরিয়ড চলছে। স্কুলে তখন উপস্থিত প্রায় ৮০০ জন পড়ুয়া। আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বিল্ডিং। হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। বাইরে তখন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে চারদিক। দৌড়ে ছাদে যেতেই দেখা যায়, তাজা বোমার দাগ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বোমার সুতলি, স্প্লিন্টার।


আরও পড়ুন,'জেল খানায় ছিল কদিন আগে, আবার যাবে', মদনের 'বোমা-হুমকিতে' বিস্ফোরক রাহুল


টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরএ সিদ্দিকি বলেন, সেকেন্ড পিরিয়ড চলছিল। হঠাত্‍ আওয়াজ। বাইরে বেরিয়ে দেখি ধোঁয়া। সবাই ছুটল। ছাদ সবসময় বন্ধ থাকে। এসে দেখলাম বোমা পড়েছে। স্প্লিন্টার পড়েছে। কালেক্ট করে নিয়ে এল। ওপর থেকেই ফেলেছে। নিচ থেকে সম্ভব নয়। তবে টিটাগড়ে স্কুলের ছাদে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল ? বোমা কি ছোড়া হয়েছে ? নাকি ছাদে বোমা মজুত ছিল ? টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাই স্কুলের শিক্ষক খালিদ তনবীর বলেন, ওপরের দিক থেকে ফেলেছে মনে হচ্ছে। একটা বিল্ডিং উঁচু। বাদবাকি সব নীচু। এত বছরে কখনও হয়নি। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, এখানে কোথা থেকে বোমাটা ছোড়া হয়েছে, এই জিনিসটা আমরা ফরেন্সিককে ডেকে, আমরা খুবই প্রাইমারি স্টেজে আছি, কারা ছুড়েছে ? কেন ছুড়েছে ?এই জানার জন্য আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।