রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : বর্ষা এবার আগেই ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে  (north Bengal)। অঝোর ধারায় ভিজছে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি দার্জিলিং। উপচে পড়ছে উত্তরের নদীগুলি। 


জল ঢুকে চাষের ক্ষতি
জলপাইগুড়িতে তিস্তা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় ভাসল মালবাজার ব্লকের ক্রান্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁপাডাঙা এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে চেল নদীর জলস্তর। এর জেরে নদী বাঁধের কিছুটা অংশ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে চাঁপাডাঙা এলাকায়। ওই এলাকা থেকে ৭টি পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, বিঘার পর বিঘা জমিতে জল ঢুকে চাষের ক্ষতি হয়েছে। 

দুর্ভোগে মানুষ 
পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বৃষ্টির জমা জল এখনও সরেনি। ফলে দুর্ভোগে রয়েছেন বাসিন্দারা। আজ ওই এলাকা ঘুরে দেখেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। 


জলমগ্ন শিলিগুড়ি শহর
রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন শিলিগুড়ি শহর। পুরসভার তরফে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। হেল্পলাইন নম্বর 75570-35194। আজ সকালে বেশিরভাগ জায়গাতেই জল নেমে যায়।তবে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকনগরে এখনও  জল জমে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিকাশি বেহাল, তাই প্রতিবার বর্ষায় বাড়িতে জল ঢুকে যায়। তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


 জলপাইগুড়ি শহরটি তিস্তা নদীর ধারে অবস্থিত। এছাড়া শহরের মধ্যে দিয়ে করলা নদী প্রবাহিত হয়েছে যাকে "জলপাইগুড়ির টেমস" নামেও ডাকা হয়। প্রতিবছর বর্ষাতেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকা ভাসে তিস্তা নদীর জলে। এবার বর্ষা নামতেই ভেসেছে তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন এলাকা। 


পার্শ্ববর্তী জেলা কোচবিহারেও চলছি তুমুল বৃষ্টি । দিন তিনেক আগে তোর্সা নদী ফুলে ফেঁপে ওঠায় দুর্দশায় পড়ে সাধারণ মানুষ। তোর্সা নদীর জল বেড়ে যায়। তার ফলে বিপদে পড়েন কোচবিহার শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের পাড় অঞ্চলের মানুষ। শনিবার থেকে জল বাড়ে তোর্সা নদীতে। জল ঢুকে যায় বাঁধের পাড়ের একাধিক বাড়িতে। জলে-ভাসা এলাকা পরিদর্শনে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। স্কুলগুলিতে খোলা হয় রিলিফ সেন্টার। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা ভাল।