সন্দীপ সরকার, রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পরপর শিশুর মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ৬৫ জনের মধ্যে ৬ জনের ধরা পড়েছে স্ক্রাব টাইফাস। বি সি রায় শিশু হাসপাতালেও জ্বর নিয়ে ভর্তি শিশুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।


উত্তরবঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত পরপর শিশু, ইতিমধ্যেই ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে,  জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি এক শিশু জাপানি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ৭ জন শিশু আক্রান্ত ডেঙ্গিতে। জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ৬জন শিশুর শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে ৬৫ জনের নমুনা আসে কলকাতায়।


জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে তিন শিশুর মৃত্যু। জলপাইগুড়ি জেলায় জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক শিশু। জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি ৬৪ জন শিশু। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ৪২ জন। বি সি রায় শিশু হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকেও লম্বা লাইন!



উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ। উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে, শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে জ্বরের প্রকোপ। প্রায় সব হাসপাতালে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুদের ভিড়। এই পরিস্থিতিতে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ দল, বুধবার যায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তাঁরা। 
 
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক গৌতম দাস জানিয়েছেন, দু-একদিনের মধ্যে ছুটি দেওয়া হবে, বেশিরভাগ শিশুর শারীরিক অবস্থা এখন ভাল, তিন শিশুর মধ্যে দুজন সদ্যোজাত, একজনের নিউমোনিয়া ছিল তাই মারা গেছে। 


জলপাইগুড়িতে জ্বরের প্রকোপের মধ্যে, উত্তরবঙ্গে এবার স্ক্রাব টাইফাসের হানা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ইন্দ্রজিৎ সাহা জানিয়েছেন, জ্বর নিয়ে ২৬ জন ভর্তি, ৬৪টি নমুনা সংগ্রহ তার মধ্যে পাঁচজনের ডেঙ্গি, আইসিইউতে কোনও বাচ্চা নেই, স্ক্রাব টাইফাস ৬ জনের। 


উত্তরবঙ্গে স্ক্রাব টাইফাস হানা। আক্রান্ত শিশুরা। কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলার বহু শিশু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহু শিশু ভর্তি। সম্প্রতি তাদের মধ্যে ৬৫ জনের নমুনা কলকাতায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মেডিক্যাল প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা জানান, যাদের নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে জলপাইগুড়ির ১ জন শিশুর জাপানি এনসেফালাইটিস, ১ জনের ডেঙ্গু ও অন্যদিকে দার্জিলিং জেলার ৬ জন শিশু স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। ৬ জন শিশু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত।