সুদীপ চক্রবর্তী, হেমতাবাদ (উত্তর দিনাজপুর): পার্সেল খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণ, আহত ৩ জন। হেমতাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বাহারাইল এলাকার ঘটনা।এক টোটো চালক ওই পার্সেলটি একটি ওষুধ দোকানে দিয়ে আসেন। ওষুধ ব্যবসায়ী পার্সেল খুলতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ওষুধ ব্যবসায়ীর নামেই পার্সেলটি পাঠানো হয়েছিল। পার্সেলে প্রেরকের কোনও উল্লেখ ছিল না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। গুরুতর আহত ৩ জন রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি।
উল্লেখ্য, এই সময়ে পর্বে পরপর বেশ কয়েকচি বড় বিস্ফোরমের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৮ জানুয়ারি, মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে এদিন। ফের নৌসেনার (Indian Navy) যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে নৌসেনার ‘আইএনএস রণবীর’ (INS Ranvir)-এ বিস্ফোরণটি ঘটে।
যদিও বিস্ফোরণের পরই জাহাজের ক্রু সদস্যরা মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কীভাবে নৌসেনার যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ হল? তা নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই যুদ্ধজাহাজেই আছে ব্রহ্মস, বারাকের মতো ক্ষেপণাস্ত্র।
১৭ ফেব্রুয়ারি আবু ধাবিতে তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ, নিহত ২ ভারতীয়। ২ ভারতীয়-সহ তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মুসাফায় পরপর ৩টি তেলের ট্যাঙ্কের জঙ্গিরা ড্রোন হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে। তেলের ট্যাঙ্কারে ইয়েমেনের ‘হাউথি’ জঙ্গি গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, আবু ধাবি পুলিশ জানায় যে, শিল্পাঞ্চল এলাকা মুসাফাতে তেল সংস্থা এডিএনওসি-র ভাণ্ডারের কাছে তিনটি জ্বালানি ভর্তি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। আবু ধাবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নির্মাণ স্থলেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পাশাপাশি ওই একই দিন সমুদ্রের নীচে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ (Underwater Volcano Explosion)। তার জেরে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific Ocean) দ্বীপপুঞ্জ টঙ্গায় (Tonga)। ছাইয়ে কার্যত ঢেকে গিয়েছে রাজধানী নাকু’আলোফা। একাধিক এলাকায় আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউ। তাতে গির্জা থেকে বসতি, ভেসে গিয়েছে সবকিছু। বিপর্যয়ের পর থেকেই বাকি দুনিয়ার থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন টঙ্গা। তাই ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য এসে পৌঁছয়নি। তবে ১৯৯১ সালে ফিলিপিন্সের বিপর্যয়ের পর থেকে আগ্নেয়গিরি থেকে এত বড় বিপর্যয় আগে দেখা যায়নি বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।