সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: নতুন বছরের প্রথম দিনেই উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) বিজেপিতে (BJP) ভাঙন। করণদিঘি (Karandighi) ও ইটাহারে তৃণমূলে (TMC)যোগ দিলেন বিজেপি নেতা-সহ কয়েকশো কর্মী, সমর্থক। গতকাল তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে করণদিঘিতে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পালের উপস্থিতিতে শাসক শিবিরে যোগ দেন একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য। একই অনুষ্ঠানে ইটাহারে তৃণমূলে যোগ দেন বিধানসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি, বিপ্লব মিত্র ও সাবিনা ইয়াসমিন। দলত্যাগীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগদান।ক্ষমতার লোভে দলত্যাগ, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।
এভাবে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জের দুই বিজেপি বিধায়কের দল ছাড়ার পর উত্তর দিনাজপুর জেলায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বিজেপির গড়। বিজেপির দখলে থাকা একের পর গ্রামপঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের পর হাজার হাজার বিজেপি নেতা-কর্মী দল ছেড়ে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে চলেছেন।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে শামিল হতে তাঁরা বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ধারাতেই এবার করনদিঘী ব্লকের বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েতের এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং বিজেপি নেতৃত্বরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দল ছাড়ায় বিজেপি দলে যে ধস নেমে এসেছে তা বলাই যায়। দলত্যাগী বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, বিজেপি সংগঠনের আজ যা অবস্থা তাতে সেই দলে থেকে কোনও কাজ করা যাচ্ছিল না। তাই মানুষের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলাম।
তবে এই দলত্যাগীদের এর তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তারা বলেছে, ক্ষমতার লোভেই ওই নেতাকর্মীরা দল ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছেন।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে অনেক নেতাকর্মীই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। এরপর থেকেই চলছে উল্টোস্রোত।