কলকাতা: পরীক্ষার ১ লক্ষ খাতা হারিয়ে গেছে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পঞ্চায়েতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায়, আদালতে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য় সরকার। আষাঢ়ে গল্প, মন্তব্য় বিচারপতির। তবে কি ফের নিয়োগে দুর্নীতির ইঙ্গিত? প্রশ্ন বিরোধীদের।


হারিয়ে গিয়েছে খাতা: গানের কথায়, রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, হারাই-হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে। বাস্তবে পরীক্ষার্থীদের বুকে সত্য়ি সত্য়ি ভয় ধরিয়ে দিল প্রশাসন। কোথাও কি তাহলে দুর্নীতির গন্ধ? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির আবহের মধ্য়েই মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতে নিয়োগের ১ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর পরীক্ষার খাতা হারিয়ে গেছে বলে হাইকোর্টে দাবি করল রাজ্য় সরকার। আর এই উত্তর শুনে কার্যত বিস্মিত বিচারপতিরা। এক লক্ষ খাতা হারিয়ে যাওয়া অনেকটা আষাঢ়ে গল্প। এমনই মন্তব্য় করল ডিভিশন বেঞ্চ।

২০১৮ সালে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েতের ১৫৭ পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দেন প্রায় এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী। তারপর কয়েক বছর কেটে গেলেও, নিয়োগ না হওয়ায়,২০২১ সালে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে, বুধবার, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, সেই পরীক্ষার যাবতীয় খাতাপত্র হারিয়ে গেছে।এক লক্ষ খাতা কী করে হারিয়ে গেল, তা নিয়ে আদালতেই শুরু হয় গুঞ্জন। বিস্ময় প্রকাশ করে, ডিভিশন বেঞ্চ বলে, হারিয়ে গেছে বলে দিলেই, আর সে সব খুঁজে পাওয়া যাবে না, এখন আর সেটা করা যাবে না। খাতা হারিয়ে গেলেও, এখন সব সফট কপি রাখা থাকে অন্য় এজেন্সির কাছে। কী করে পরীক্ষার খাতা হারাল? কে বা কারা খাতা সংরক্ষণের দায়িত্ব ছিল? ৪ সপ্তাহের মধ্য়ে পঞ্চায়েত দফতরের সচিবকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এবার সেই মামলাতেই জেলে গেলেন তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যও।অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর গোটা পরিবারের ঠিকানা এখন জেলে।বুধবারই আদালতে মানিক ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী-পুত্র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইডি দাবি করে, এই তিনজনকে নিয়ে একটা দুর্নীতির ত্রিভূজ তৈরি হয়েছিল। ৭ ডিসেম্বর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয়, তাতে মানিক ভট্টাচার্যর পাশাপাশি,  তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য,  ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর নাম ছিল।


আরও পড়ুন: Calcutta Medical College: শরীরে জমেছিল প্রাণঘাতী পারদ, কলকাতা মেডিক্যালে বিরল অস্ত্রোপচারে বাঁচল তরুণের প্রাণ