রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: অন্যের মোবাইল সিম (Mobile Sim) ব্যবহার করে অনলাইন জালিয়াতির অভিযোগে বেলডাঙায় (Beldanga Arrest) গ্রেফতার ৩। মঙ্গলবার ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে কোর্টে পেশ করে পুলিশ। আর কারা এই ঘটনায় জড়িত সেটিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কী ঘটেছে?
বেলডাঙার এসডিপিও সন্দীপ গড়াই জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার রাতে বেলডাঙার মির্জাপুরে একটি মোবাইলের দোকানে অভিযান চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে ২ হাজার ৬২০টি জাল সিম কার্ড, ২৪টি মোবাইল, ২৫টি এটিএম কার্ড, ১৬টি কিউআর কোড ও বায়োমেট্রিক স্ক্যানার উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতরা বিভিন্ন গেমিং সাইট ও শপিং সাইটে ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিক্রি করত। জালিয়াতির এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
নতুন নয়...
চলতি মাসের অনলাইন প্রতারণা চক্রের শিকার হওয়ার অভিযোগে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এবং সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে এক যুবকের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, টানা এই হেনস্থার ফলে মানসিক অবসাদের শিকার ওই যুবক অরিজিৎ রায়। পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার থানা পাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ। কয়েকদিন আগেই ওই এলাকায় একটি অনলাইন ক্যাফে খুলেছেন ওই যুবক। ৩১ জানুয়ারি ওই যুবক জানতে পারেন, তাঁর আত্মীয়দের কাছে একটি অনলাইন ঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে বিভিন্ন ফোন এবং মেসেজ আসছে। যেখানে বলা হচ্ছে ওই ব্যক্তি অনলাইনে লোন নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধ করার কথা বলা হচ্ছে তার আত্মীয়দের। কয়েকদিন পর থেকে ওই ব্যক্তির কাছে টাকা চেয়ে ফোন এবং মেসেজ আসতে থাকে। 'হুগো লোন' নামে একটি অনলাইন অ্যাপ দাবি করে তাঁকে ৫০০০ টাকা শোধ করতে হবে। হুমকির ভয়ে সেই সময় নাকি ওই ব্যক্তি ৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও হেনস্থা শেষ হয়নি। পরে ওই অ্যাপের তরফে আরও টাকা দাবি করা হয়। সেই সময় ওই ব্যক্তি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গোটা বিষয়টি জানায়। থানা থেকে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তা মেনে পরে মালদা সাইবার ক্রাইম থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ সেই সময় তাঁকে ফোন নম্বার বদল করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু তা আর করা হয়নি ওই ব্যক্তির। তারপরে গত একমাস ফোন এবং মেসেজ বন্ধ ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফের ক্রমাগত ফোন এবং মেসেজ ফের আসতে শুরু করেছে। ওই একই সংস্থার নাম করে টাকা দাবি করা হচ্ছে। এমনকি ওই ব্যক্তির আধার এবং প্যান কার্ডের ছবিও পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। আত্মীয়-স্বজনদের নাম করে ফোন এবং মেসেজ করছে। প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরকম অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ওই পরিবার।