কলকাতা: ফের জামিনের আর্জি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। আর তার বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই নিয়ে ফের বাদানুবাদ বাধল আদালতে। সিবিআই-এর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও নতুন তথ্য় হাতে এসেছে তাদের। দুর্নীতি অবশ্যই হয়েছে (SSC Case)। কার মাধ্যমে হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। তাই পার্থকে জামিন দেওয়ায় আপত্তি জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (CBI)। 


সিবিআই-এর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও নতুন তথ্য় হাতে এসেছে তাদের


বৃহস্পতিবার পার্থ, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, চন্দন মণ্ডল-সহ ১৩ জনকে  ফের পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। আদালতে এ দিন ফের জামিনের আর্জি জানান পার্থ। কিন্তু তার তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই। তাদের আইনজীবী বলেন, "নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন তথ্য পাচ্ছি আমরা। দুর্নীতি অবশ্যই হয়েছে। কার মাধ্যমে হয়েছে, সেটা খোঁজা হচ্ছে।"


নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই, আধিকারিকরাই সব দেখতেন, যেখানে সই করতে বলা হতো, করে দিতেন বলে এর আগে একাধিক বার দাবি করেছেন পার্থ। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও  দাবি করেন পার্থর আইনজীবী। সেই প্রসঙ্গে এ দিন আদালতে সিবিআই বলে, "এজেন্সির কাজে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব নেই। নথিতে কোনও ভুল-ত্রুটি থাকলে প্রশ্ন তুলুন।"


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: 'কুন্তলকে চিনি না', পরিচিতদের জানালেন পার্থ


তবে এ দিনও নিজেকে নির্দোষ বলেই আদালত চত্বরে দাবি করেন পার্থ। পরিচিত মহলে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "নিয়োগ সংস্থা এসএসসি, প্রাইমারি বোর্ড, সবটাই স্বাধীন। মন্ত্রী এখানে নিয়োগ কর্তা নন।" নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা কুন্তল ঘোষকেও তিনি চেনেন না বলে পরিচিতদের কাছে দাবি করেন পার্থ।


যদিও, সপ্তাহখানেক আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের কাছে পার্থকে নিয়ে অনুযোগ করেন কুন্তল। ইডি-র একটি সূত্র জানায়, কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে যে দিন ইডি আধিকারিকরা কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান, সে দিনই অভিযোগ করেন কুন্তল। জানান, তিনি জেলে পৌঁছলে তাঁর কাছে আসেন পার্থ। জানতে চান, কেন তাঁর নাম নেওয়া হয়েছে? কুন্তল কি তাঁকে টাকা দিয়েছেন?


নিজেকে নির্দোষ বলেই আদালত চত্বরে দাবি করেন পার্থ


এ দিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদের বাড়ি থেকেও নগদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং দেড় কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে। জেলবন্দি শান্তিপ্রসাদের ফ্ল্যাটে কেন এই বিপুল পরিমাণ নগদ ও তাল তাল সোনা রাখা হয়েছিল, তা জানতে শান্তিপ্রসাদকে ফের জেরা করতে আদালতে অনুমতি চাইতে পারে সিবিআই।