কলকাতা: ফের অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। সেই অবস্থাতেই ফের একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর। পার্থর জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে SSKM হাসপাতালকে চিঠি দিলেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। (Partha Chatterjee)


প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর পা ফুলেছে। কোনও সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে পারছেন না তিনি। কী কারণে পা ফুলেছে, তা জানতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে বলে চিঠি দিয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, বাইপাসের ধারে আর এন টেগোর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পার্থ। জেল সূত্রে খবর, আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে ফেরার পর প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। (SSKM Hospital)


নয় নয় করে প্রায় তিন বছর হতে চলল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি রয়েছেন পার্থ। ২০২২ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তার পর বেশ কয়েক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। আদালতে জামিনের আর্জিতেও বার বার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন পার্থ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সেবার SSKM-এর চিকিৎসায় সন্তুষ্ট ছিলেন না পার্থ। তাই আদালতে অনুমতি সাপেক্ষে আর এন টেগোরে ভর্তি হন। 


এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর বিড়ম্বনা কমার লক্ষণ নেই। পার্থর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রাজসাক্ষী হয়েছেন তাঁর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। শনিবার কলকাতা নগর দায়রা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শ্বশুরমশাই গ্রেফতার হওয়ার পর নাম জড়িয়েছিল জামাইয়েরও। তদন্তে ED-র র‍েডারে আসে তাঁর প্রয়াত স্ত্রীর নামে পিংলায় তৈরি হওয়া, বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, যার চেয়ারম্যান পার্থর জামাই কল্যাণময়। 


ED-র চার্জশিটে দাবি করা হয়, প্রথমে স্কুলের জমি কেনা ও পরে কনস্ট্রাকশনের জন্য নগদে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন পার্থ। সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর জামাই কল্যাণময়ের মাধ্যমে। সেই মামলায় আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হয়েছেন কল্যাণময়। শুধু কল্যাণময়ই নন, পার্থর এক আত্মীয়ও তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ED-র বিশেষ আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ED-র তদন্তে উঠে আসে পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে পিংলায় স্কুল তৈরির কথা। ED সূত্রে দাবি, পার্থর আত্মীয় কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীর নামে স্কুলের জমি কেনা হয়। পার্থর ওই আত্মীয়ই এবার ED-র বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।