অলোক সাঁতরা ও অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার বা এনভিএফ (NVF) হিসেবে চাকরি করতেন এক আত্মীয়। কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। সেই চাকরি পাওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছিল ছক। মৃত আত্মীয়কে 'বাবা' বানিয়ে চাকরি হাতানোর অভিযোগ উঠল। সেই কাজে পুলিশের হাতে ধরাও পড়লেন তিন জন। ধৃতদের জেরা করে সামনে এল নিয়োগে দালালচক্রের হদিশ। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি।


মৃত আত্মীয়কে নিজের বাবা বানিয়ে চাকরি হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুয়ো তথ্য জমা দিয়ে চাকরিও প্রায় হাতেই চলে এসেছিল। কিন্তু পুলিশের স্পট ভেরিফিকেশনে ধরা পড়ে গেল জালিয়াতি। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি, উজ্জ্বল মাইতি নামে এক যুবক NVF-এ চাকরির জন্য আবেদন করেন। আবেদনপত্রে লেখা হয়েছিল উজ্জ্বলের বাবা, NVF কর্মী নারায়ণ মাইতির কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ফলে নিয়ম মেনে, উজ্জ্বলের চাকরির তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মেদিনীপুর থেকে আধিকারিকরা স্পট ভেরিফিকেশন করতে গেলে জানতে পারেন, আবেদনকারী  উজ্জ্বল মাইতির বাবা অন্য ব্যক্তি। যিনি জীবিত রয়েছেন। এরপরই, কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। 


গ্রেফতার তিন:
তদন্তে নেমে চাকরিপ্রার্থী উজ্জ্বল মাইতিকে গ্রেফতার করা হয়। এর পাশাপাশি জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ ও গোবিন্দপ্রসাদ চক্রবর্তী নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 


যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান অভিযুক্তের মা শ্রীমা মাইতি। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে ভুয়ো তথ্য দেয়নি। ওরা ভুয়ো তথ্য বানিয়ে ফাঁসিয়েছে। আমরা ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছি। ভেরিফিকেশনের সময় জানতে পারি। তখন আমার ছেলে নিজে গিয়ে সারেন্ডার করে। আমার ছেলে নির্দোষ। আমরাও তো জানতাম না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন যেন শাস্তি হয়।'


ফলে এই ঘটনায় NVF নিয়োগে দালালচক্রের অভিযোগও সামনে এসেছে। ধৃত জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ, NVF-এর একজন পদাধিকারী। তিনি এই নিয়োগ দুর্নীতিতে কীভাবে জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ৩ অভিযুক্তের ৩দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মেদিনীপুর আদালত। 

আরও পড়ুন: