বিশ্বজিৎ দাস, খড়পুর : কয়েকমাস পরই লোকসভা নির্বাচন ! তার আগে পোস্টার ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হল নতুন জল্পনার। 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি' লেখা পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে জেলা সর্বত্র। এবার খড়্গপুরেও পড়ল 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি' চেয়ে পোস্টার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের গিরি ময়দান স্টেশনের বাইরের দেওয়ালে পড়ল এই পোস্টার। যা নিয়ে খড়গপুর শহরে রীতিমতো রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা অসীম রায়চৌধুরী বলেন, সকালে হাঁটতে এসে গিরি ময়দান স্টেশনের দেওয়ালে পোস্টার দেখি। কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে তা বলতে পারব না। কী বিকল্প,  কারা বিকল্প জানি না। শাসক শ্রেণির মদত রয়েছে বলে মনে হয়। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার পড়েছে বলে শুনেছি।


যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নির্মল ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস পোস্টারের রাজনীতি করে না। এটা বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। বিজেপি বহুদিন ধরে এই চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা ব্যর্থ হবে।'


জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে বিকল্প রাজনীতির প্রয়োজন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এত দুর্নীতিতে মানুষ রীতিমতো বিরক্ত। সেই জন্য মানুষ বিকল্প রাজনীতি খুঁজছে। আর একমাত্র বিকল্প হচ্ছে বিজেপি। খড়্গপুরে যে পোস্টার পড়েছে সেটা তৃণমূলের কাজ হতে পারে। বিজেপি এই ধরনের পোস্টারের রাজনীতি করে না। এই ধরনের পোস্টার ফেলার বিজেপির কোনও দরকার নেই।'


কয়েকমাস পরই লোকসভা নির্বাচন ! তার আগে বছর শেষের দিনে, এই পোস্টার ঘিরেই বঙ্গ রাজনীতিতে তৈরি হয় নতুন জল্পনার। 'বাংলায় বিকল্প রাজনীতি' লেখা এই পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে শহর থেকে... জেলা সর্বত্র। রবিবার সকালে শ্যামবাজার, হাজরা মোড়, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা , এমনকী এন্টালিতে প্রদেশ কংগ্রেসের দফতরের আশপাশেও দেখা যায় এই ধরনের পোস্টার। কিন্তু, কারা দিল এই পোস্টার ? তার কোনও উল্লেখ করা না হলেও, পোস্টারের এই বক্তব্য নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখে, বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সঙ্গে লিখেছেন, বাংলার ভবিতব্য, বিকল্প রাজনীতি। ইঙ্গিতপূর্ণভাবে এই পোস্টার প্রসঙ্গে কৌস্তভকে সমর্থন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "কৌস্তভ বাগচী কংগ্রেসে থেকে কংগ্রেসকে লাইনে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তু পারবে না। কারণ কংগ্রেসের মালিকরা, চোর মমতার সঙ্গে চারবার বিরিয়ানি খেয়েছে। তাই ভাই কৌস্তুভের প্রতি আমার শুভেচ্ছা আছে। লড়তে পারলে লড়ুন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলায় বিকল্প বিজেপি।"