অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী পেট্রোল (Petrol)-ডিজেলের (Diesel) দাম। মহার্ঘ হয়েছে CNG-ও। বাড়তে বাড়তে দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অর্থনীতিবিদদের একাংশ।


আইপিএলে (IPL) চলছে ধুন্ধুমার ব্যাটিং। ঝড়ের গতিতে হচ্ছে সেঞ্চুরি। আইপিএলের মতো রেকর্ড গড়ছে জ্বালানির দামও। ক্রিকেটের (Cricket) ময়দানে রানের ছড়াছড়িতে দর্শকরা খুশি হলেও, পেট্রোল-ডিজেল যত দামি হচ্ছে, ততই যেন ঘুম উড়ছে সকলের। রবিবারও বেড়েছে দাম। 


পেট্রোল ডিজেল দর


এই নিয়ে গত ১৩ দিনে ১১ বার দাম বাড়ল জ্বালানির। ৮৪ পয়সা বেড়ে রবিবার থেকে কলকাতায় পেট্রোলের দাম হয়েছে ১১৩ টাকা ৩ পয়সা লিটার। আর ৮০পয়সা বেড়ে ডিজেলের লিটারপ্রতি দাম হল ৯৭ টাকা ৮২ পয়সা। ফলে শেষ ১৩ দিনে পেট্রোলের দাম বাড়ল ৮ টাকা ৩৬ পয়সা। আর ডিজেলের দাম বাড়ল ৮ টাকা ৩ পয়সা। 


জ্বালানির জ্বালা 


জ্বালানির জ্বালায় অতিষ্ঠ সকলেই। অনেকেই কাটছাঁট করছেন বাজেটে। এই যেমন যোধপুর গার্ডেনের বাসিন্দা তপন সাহা। KMDA-র প্রাক্তন কর্মী একটি স্কুটার রয়েছে। যার জ্বালানির খরচ জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। টালিগঞ্জের বাসিন্দা, বেসরকারি সংস্থার কর্মী দেবাশিস মুখোপাধ্যায়েরও একই দশা। তিনি বলেন, "এখন যা সমস্যা তাতে মাঝেমধ্যে গাড়ি নিয়ে বেরোচ্ছি না, খুব প্রয়োজন না হলে গাড়ি বার করছি না।" 


তবে শুধু পেট্রোল-ডিজেলই নয়। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো দাম বেড়েছে CNG-তেও। আগে লিটার প্রতি CNG-র দাম ছিল ৬৭ টাকা ৬৭ পয়সা। তবে রবিবার লিটারে ২ টাকা ৩২ পয়সা বেড়ে এর দাম দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৯৯ পয়সায়। ফলে যাঁরা সাশ্রয়ের কথা ভেবে গাড়িতে CNG ব্যবহার করছেন, ফাঁপরে পড়েছেন তাঁরাও।


অর্থনীতিবিদদের মত


এই অবস্থায় সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাঁদের মতে, দাম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকেই। অর্থনীতিবিদ অরিজিতা দত্ত বলেন, "আন্তর্জাতিক বাজারে সবাই সবার ওপর নির্ভরশীল, সরকার কী ভূমিকা নিচ্ছে, তার তো দায়িত্ব আছে।" বাড়তে বাড়তে জ্বালানির দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেকথা ভেবেই রীতিমতো আঁতকে উঠছেন সবাই। ভুক্তভোগীদের এখন একটাই প্রার্থনা, লাগাম পড়ুক পেট্রোপণ্যের দামে।