কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এবার গিয়ে পৌঁছল আদালতে। উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে। উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ফেলে রাখার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা। সাংবিধানিক সঙ্কটের অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই নিয়ে রাজ্যপালের হলফনামা চেয়ে পাঠাল আদালত। (Kolkata News)


২০২২ সালের জুন মাসে উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয় ওই বছর ১৫ জুন। কিন্তু তার পর এক বছরের বেশি সময় কেটে  গেলেও, ওই বিলে রাজ্যপাল সই তো করেনইনি, কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। বরং উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিল ইচ্ছাকৃত ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়েই  সাংবিধানিক সঙ্কটের অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। 


আদালতে মামলাকারী জানান, রাজ্যপালের কাছে যখন কোনও বিল পৌঁছয়, তিনটি কাজ করতে পারেন তিনি, ১) সম্মতি জানিয়ে বিলটিতে সই করতে পারেন, ২) কোও সংশোধনের প্রয়োজন হলে পরামর্শ দিতে পারেন, বা পরামর্শ ছাড়াও বিল ফেরত পাঠাতে পারেন, ৩) বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে ফেরত পাঠাতে পারেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনমও পদক্ষেপই করা হয়নি। ফলে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তহীনতায় সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন মামলাকারী।


আরও পড়ুন: Narada Scam:নারদকাণ্ডে ফের সক্রিয় সিবিআই, ম্যাথু স্যামুয়েলকে হাজিরার নোটিস


মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। কেন্দ্রের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চায়, যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধ কি করা যায় না? এর জবাবে কেন্দ্রের আইনজীবী মামলাকারী ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখার আবেদন জানান। বলেন, "মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক মামলাকারী। পরিচয় গোপন করে দায়ের মামলা গ্রহণযোগ্য নয়।" সংবিধানে রাজ্যপালকে রক্ষাকবচ দিয়েছে, জবাবদিহি করতে বাধ্য নন বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী। 


এর পর বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, "সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলে কি কোর্ট রাজ্যপালকে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করতে পারে না?" তার পরই আদালতের তরফে ৪ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যপালের দফতরকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে।