Park Street Murder: চাদর পেঁচিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন, বক্স খাটে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দেহ! পার্ক স্ট্রিটকাণ্ডে মৃত যুবকের ২ সঙ্গীকে পাকড়াও করল পুলিশ
Park Street Incident: গত ২৪ অক্টোবর, পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। খবর পেয়ে হোটেলে এসে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

কলকাতা: হোটেলের বন্ধ ঘর, সেই ঘরের খাটের ডিভান থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ! গত ২৪ অক্টোবর, পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়, এক যুবকের মৃতদেহ। ঘটনার দিন পাঁচেকের মাথায় হল খুনের কিনারা। নিহত রাহুল লালের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। গতকাল ওড়িশা থেকে তাদের দুই সঙ্গী শক্তিকান্ত বেহরা ও সন্তোষ বেহরা-কে পাকড়াও করে পুলিশ। কিন্তু কেন, এই ২ ব্যক্তি সঙ্গী রাহুল লালকে খুন করেছিলেন, সেই বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ঠিক কী ঘটেছিল? গত ২৪ অক্টোবর, পার্ক স্ট্রিটের হোটেল থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। খবর পেয়ে হোটেলে এসে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হোটেল রুমের বক্স খাট থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। হোটেল রুমে খুনের ঘটনা বলে অনুমান পুলিশের। জানা গিয়েছে, 'পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে উঠেছিলেন ২ জন। যাঁর আধার কার্ডের ভিত্তিতে রুম নেওয়া হয়। হোটেল থেকে তিনি চেক আউট করে যান, খবর পুলিশসূত্রে। তিন তলায় রুম নম্বর ৩০২-এ বক্স খাটে মেলে যুবকের দেহ। ওই ব্যক্তির দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কীভাবে মৃত্যু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই জানা যাবে। ঘটনাস্থলে লালবাজারের সায়েন্টিফিক উইং, হোমিসাইড শাখা। জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে দুই ব্যক্তি এই হোটেলে এসে ওঠেন। এঁদের মধ্যে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। আনুমানিক ওই যুবকের বয়স ২৫-২৬ বছর। এদিকে দু'জন এই হোটেলে থাকলেও একজনের আধার কার্ড ব্যবহার করা হয়, এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে এও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আধার কার্ডটিও ভুয়ো ছিল। ওই ভুয়ো আধার কার্ডটি যার নামে, তাঁকে পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হয়, তিনি বেঁচে আছেন বলেই জানা যায়।
এরপরে আজ, পার্কস্ট্রিটের হোটেলে যুবক খুনের কিনারা হল। নিহত রাহুল লালের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। গতকাল ওড়িশা থেকে তাদের দুই সঙ্গী শক্তিকান্ত বেহরা ও সন্তোষ বেহরা-কে পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার, পার্ক স্ট্রিটের ওই হোটেলে রাহুল লাল সহ দু'জনেই উঠেছিলেন। সেখানেই চাদর পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় রাহুলকে। এরপর থেকে পলাতক ছিল তারা। অবশেষে ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হল তাদেরকে। আজই তাদের ওড়িশার আদালতে তোলা হবে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। যদিও, খুনের নেপথ্যে কী কারণ, তা এখনও জানা যায়নি।






















