পার্থপ্রতিম ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুর-হত্যাকাণ্ডে (ex naval officer) দেহ (body) টুকরো (cut) করার করাত (Saw) উদ্ধার করল পুলিশ। নিহতের বাড়ির কাছেই পুকুর (pond) থেকে উদ্ধার করাত। কোথায় ফেলা হয়েছিল করাত? দেখিয়ে দিল নিহতের ছেলেই, দাবি পুলিশের। ডুবুরি নামিয়ে বাড়ির কাছেই পুকুর থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়। বারুইপুরে(baruipur) প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে খুনের পর তাঁর দেহ ৬ টুকরো করা হয়েছিল। এখনও মেলেনি হাতের অংশ।
কী জানা গেল?
এখনও পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে যা উঠে এসেছে তাতে গত ১৪ নভেম্বর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীকে। তার পর তাঁর দেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন মা ও ছেলে, এমনই অভিযোগ। এই কাজেই কাঠমিস্ত্রির রেখে যাওয়া করাতটি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। গত ১৭ নভেম্বর যে পুকুর থেকে কিছু দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল, সেই পুকুরেই ওই করাতটিও ফেলা হয় বলে নিহতের ছেলে জয় চক্রবর্তী পুলিশকে জানিয়েছিল। গত কাল সেখানে তল্লাশি করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি। আজ ফের সেখানে জয়কে নিয়ে আসে পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিযুক্তই দেখিয়ে দেয় কোথায় করাতটি ফেলা হয়েছিল। তার পরই প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের নামিয়ে করাতটি উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গত কালই জঙ্গলে তল্লাশি করে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর কোমরের অংশ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু তাঁর হাতের অংশ এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশের ধারণা, জঙ্গলে থাকা শিয়াল বা অন্যান্য বন্যপ্রাণী সেগুলি খেয়ে ফেলেছে। দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টার পাশাপাশি ঠিক কী ঘটেছিল, সেটিও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রেক্ষাপট...
মঙ্গলবার বারুইপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেছিল চক্রবর্তী পরিবার। তার পরই হাড়হিম করা মোড়। পুলিশের দাবি, জেরায় নিহতের ছেলে স্বীকার করেছে বাবাকে খুন করেছে সে-ই। শুধু তাই নয় ! হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের পরেও পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের সামনে অবিচল থেকে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে নিহতের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে! গত শনিবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে নিহতের ছেলে। স্বীকার করে বাবাকে খুনের কথা। এরপরই ছেলে ও মা-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রে খবর, জেরায় জয় চক্রবর্তী জানিয়েছে, চেন্নাইয়ে একটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কথা ছিল তার। এর জন্য বাবার কাছে ৩ হাজার টাকা চেয়েছিল সে। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হননি বাবা। তা নিয়েই গত ১৪ তারিখ, সোমবার শুরু হয় বচসা। বাবা ও ছেলের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। এরপরই গলা টিপে, শ্বাসরোধ করে বাবাকে খুন করে ছেলে। তার পর হাড়হিম করা ঘটনা।
আরও পড়ুন:এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই, ২০ জন চাকরিপ্রার্থী,চাকরি প্রাপককে তলব