সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Ganguly) নিয়ে গান বাঁধলেন অধ্যাপক। প্রতিবাদী গান গেয়ে ইউটিউবে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ডানলপের সৌমিক দাস (Soumik Das)। সমসাময়িক ইস্যুতে গান লিখলেও, এই প্রথম কোনও ব্যক্তিকে নিয়ে গান বাঁধলেন সৌমিক। 


পেশায় কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক। প্রতিবাদী গান গাওয়াই তাঁর নেশা। গান বাঁধেন সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে। অধ্যাপক সৌমিক দাস এবার গান বাঁধলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। অধ্যাপক সৌমিক দাস বলেন, 'মানুষের জন্য বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসন। মানুষ কোনঠাসা না হলে বিচারব্যবস্থায় যায় না। পর্যবেক্ষণের মধ্যে দিয়ে দুর্দশা তুলে ধরছেন। শুধু নেতাদের পোস্টার থাকবে তা নয়, যে মানুষের মনে থাকবে তাঁরই পোস্টার থাকবে।'


সৌমিক দাসের বাড়ি ডানলপে। আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি. টেক, যাদবপুর থেকে পিএইচডি শেষ করে বর্তমানে সেক্টর ফাইভের একটি বেসরকারি কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগীয় প্রধান তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে ডেলিভারি বয়ের জীবনকাহিনী। সব নিয়েই গান বেঁধেছেন সৌমিক। কলেজ জীবন থেকেই প্রতিবাদী গান গাওয়ার নেশা তাঁর। ৬৮ টি গান ইতিমধ্যেই আপলোড হয়েছে ইউটিউবে। এবার তাঁরই গানে উঠে এল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের প্রসঙ্গ। সৌমিক বলেন, 'আমার লেখা অসম্পূর্ণ থাকবে ওঁকে নিয়ে গান না লিখলে। যে রায় দিচ্ছেন, অমৃতা সিনহা তাই বজায় রেখেছেন। ওঁর রায়ে আইন আছে, আবেগ নেই। দেখা করার ইচ্ছা আছে।'

শেষবারের বইমেলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে সাধারণের বাঁধভাঙা আবেগ দেখেছিলেন সৌমিক। তারপরই তাঁকে নিয়ে গান তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু করেন।


প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট চত্বর হোক বা কলকাতা বইমেলা। তিনি যেখানেই গেছেন, তাঁকে ঘিরে দেখা গিয়েছে, সাধারণ মানুষের উন্মাদনা। কখনও আবার তাঁর নামে পড়েছে ফ্লেক্স-পোস্টার। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।


শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ভগবান সর্বত্র আছেন এবং প্রত্যেক কণায় আছেন। কিন্তু, তিনি একটি মানুষের মধ্যে সবচেয়ে অধিক থাকেন। তেমনই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক রায় এবং পর্যবেক্ষণে অনেকের কাছেই কার্যত ভগবানের উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কখনও এজলাসে, কখনও আবার মাঠে-ময়দানে, 'ভগবান' সম্বোধন শুনেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে, কর্মজীবনের বকেয়া পান, হাওড়ার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শ্যামলী ঘোষ। ওই রায়ের পর, ভরা এজলাসে বিচারপতিকে ভগবান বলেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। কখনও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে পড়েছে ফ্লেক্স, কখনও পুজোর অনুষ্ঠানের মঞ্চে জায়গায় করে নিয়েছে তাঁর নাম।