কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: নিম্নচাপের (Depression) চোখরাঙানি আর তার জেরে টানা বৃষ্টি (Rain)। অবিরাম বৃষ্টিতে ডুবে যাচ্ছে জমির ধান। এমন ছবি কদিন আগেই দেখেছেন বাংলার (West Bengal) বিস্তীর্ণ এলাকা কৃষকরা। পূর্ব বর্ধমানেও একই ছবি ছিল। চারিদিকে যখন জমির ধান ডুবছে তখন নিজের জমির ফসল নিয়েও কার্যত মাথায় হাত পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুরের (Jamalpur) তৃণমূল বিধায়কের (TMC Mla)। ধান বাঁচতে নিজেই নেমেছেন জমিতে।     

  


বাড়ি ফেরার সময় বিঘের পর বিঘে জমির ধান ডুবে থাকতে দেখে আর আটকে রাখতে পারেননি নিজেকে। কোমর বেঁধে জমিতে নেমে পড়েন বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি। যতটুকু পারা যায় ততটা ধান যাতে ঘরে তোলা যায় তার চেষ্টা করেছেন তিনি। তিনি বিধায়ক, তিনিই এভাবে জমিতে নেমে ধান বাঁচাচ্ছেন। এই ছবি দেখে কৌতূহল দেখিয়েছিলেন অনেকেই। তাতে বিধায়কের সটান জবাব, 'আমি চাষার ব্যাটা,ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে মাঠে চাষ করে এসেছি।' বিধায়ক তো কী হয়েছে, পুরনো অভ্যেস বাঁচিয়ে রাখতে চান তিনি। বিধায়ক বলছেন, 'এখন বিধায়ক,ভাতা পাই তো কী হয়েছে? তা বলে চাষ ভুলে যাব? চোখের সামনে নিজের জমির ধান জলে ডুবে নষ্ট হচ্ছে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনি। তাই শেষ ধানটুকু যতটা বাঁচানো যায় সেই চেষ্টা করেছি।'                   


অগ্রহায়ণ মাসে এমন বৃষ্টিতে ভয়াবহ ধাক্কা খেয়েছে চাষের (Loss in Paddy Cultivation)) কাজ। নিম্নচাপের জেরে ২দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে জেলাজুড়ে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ দামোদর এলাকার গোবিন্দভোগ ধান চাষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ফসলের প্রায় সিংহভাগ কোনও চাষি বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন না। জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝির বাড়ি খন্ডঘোষের শঙ্করপুর এলাকায়। এই এলাকার একাধিক মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'


কতটা ক্ষতি?
বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি জানান, শঙ্করপুরে তিনি তাঁর পারিবারিক ৩ বিঘা জমিতে গোবিন্দভোগ ধান ও ১০ কাঠা জমিতে আলু চাষ (Potato Cultivation) করেছিলেন। সেই ধান যেমন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে তেমনি আলুর বীজও নষ্ট হয়ে যাবে। 


আরও পড়ুন: আগামীকাল শিক্ষামন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক চাকরিপ্রার্থীদের, ধর্না মঞ্চে গিয়ে আশ্বাস কুণালের