কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার মেমারীতে (memari)। দিদির পচাগলা দেহ আঁকড়ে বেশ কয়েকদিন একই বাড়িতে একই বিছানায় রাত্রিযাপন বোনের। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারী থানার কৃষ্ণবাজার কলেজমোড় এলাকায়।


স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারীর কৃষ্ণবাজার কলেজমোড় এলাকায় একটি ভগ্নপ্রায় দোতলা বাড়িতে একসঙ্গে থাকতেন দুই বোন সুপ্তিকণা ও মুক্তিকণা কোলে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা দুজনেই ঘর থেকে বেরতেন না। তাঁদের বাইরে একেবারেই খুব একটা দেখা যেত না। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো ছিল না। প্রতিবেশীদেরকেও তাঁরা ঘরে ঢুকতে দিতেন না। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দেখা যায়নি দুই বোনকে। বাড়ি থেকে তাঁদের একবারও বেরতে দেখেননি প্রতিবেশীরা। তারইমধ্যে দুই বোনের ঘর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বেরতে থাকে। দুর্গন্ধে প্রতিবেশীদের এলাকায় টেকা সমস্যার হচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই প্রথমে খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে তাঁদের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বড় দিদি সুপ্তিকণা মারা গিয়েছেন। আর তাঁর পচাগলা মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে রয়েছেন বোন মুক্তিকণা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বেশ কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন সুপ্তিকণা। দিদির মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহর সঙ্গে একই বিছানায় ছিলেন বোন। দ্রুত পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে বড় বোনের, তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে। তার সঙ্গে মৃতার বোনেরও চিকিৎসা শুরু করান হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে,।


আরও পড়ুন - Purba Bardhaman News: ‘ভোটের লাড্ডু, খেলেও পস্তাতে হয়, না খেলেও’, বিজয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলরের মিষ্টি বিলিকে ঘিরে তিক্ততা


প্রতিবেশীরা আরও জানাচ্ছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করা তো দূর, বাড়িতে ইলেকট্রিক ছিল না দুই বোন সুপ্তিকণা ও মুক্তিকণার। জলের লাইনও ব্যবহার করতেন না তাঁরা। রাতে মোমবাতির আলো ব্যবহার করতেন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সমস্ত সময়ই তাঁদের বাড়ির সমস্ত দরজা জানালা বন্ধ করা থাকত। কখনও কখনও খাবার ও জল নেওয়ার জন্য তাঁরা বাড়ি থেকে বেরতেন। তাও বড় দিদি সুপ্তিকণাকে দেখাই যেত না। বোন মুক্তিকণা কখনও কখনও বাইরে আসতেন। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।