বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া : আবাস যোজনায় (Awas Yojana) টাকা পেয়েও বাড়ি করেননি। এই মর্মে তিন উপভোক্তার বিরুদ্ধে পাঁশকুড়া (Panskura) থানায় এফআইআর দায়ের করলেন এলাকার বিডিও। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


জানা গেছে, ২০১৯-'২০ অর্থবর্ষে সরকারি আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন‍্য ৬০ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন পাঁশকুড়ার কেশাপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিনারায়ণপুরের বাসিন্দা জয়দেব সাউ, মালিদার বাসিন্দা বটকৃষ্ণ ভুঁইঞা ও জশোড়ার বাসিন্দা দুলাল দাস। দীর্ঘদিন টাকা পেয়েও বাড়ি না করায় পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ করেন এলাকার বিডিও ধেনধূপ ভুটিয়া। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয় পাঁশকুড়া থানায়। যদিও অভিযুক্ত জয়দেব সাউয়ের দাবি, শরিকদের সঙ্গে জায়গা নিয়ে পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। সেই সমস‍্যার সমাধান হয়নি। তাই বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। 


তবে চাপের মুখে বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে গিয়ে আবাস যোজনার টাকা ফেরত দিয়ে এসেছেন বটকৃষ্ণবাবু। বাকি দুই জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। তবে এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।


সরকারি আবাস যোজনার টাকা পেয়েও ঘর না করার ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম নয়। এর আগেও নন্দকুমারে এফআইআরের পাশাপাশি নন্দীগ্রামে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনজন। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, আবাস যোজনার জন্য সরকারি টাকা পেয়েও ঘর না করে আত্মসাৎ করা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রসঙ্গত, বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ৩ কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, আবাস যোজনার আবেদনকারীর নথি গ্রাহ্য হলে প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাড়ির প্রথম পর্যায়ের কাজ হয়ে গেলে, তার নথি ও ছবি আপলোড করতে হয় সরকারি পোর্টালে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তির ৫০ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে।


শেষ পর্যায়ে বাকি ১০ হাজার টাকা পান উপভোক্তা।