বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দকুমার মডেলের সামনে মহিষাদলের জগৎপুর শীতলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির (Mahishadal Cooperative Elections) ভোটে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৫১টি আসন। আর তৃণমূল পেয়েছে ১১টি আসন। মহিষাদলের সমবায় সমিতির ভোটে বিরোধীদের জয়কে যদিও আমল দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)।
মহিষাদল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে পরাজিত তৃণমূল
নন্দকুমারের পর এবার মহিষাদল (Purba Medinipur News)। এবার জগৎপুর শীতলা সমবায় সমিতির ভোটে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয়লাভ করল তৃণমূল বিরোধী শক্তি (BJP) (CPM)।
মহিষাদলের জগৎপুর শীতলা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির আসন সংখ্যা ৬২। রবিবার, এখানে ভোট হয়। ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা যায়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ৫১টি আসন পেয়েছে। আর তৃণমূল পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন অভিষেক, একদিন পরই ইস্তফা তিন আধিকারিকের
প্রকাশ্যে যদিও কেউই স্বীকার করছেন না, তবে বাম-বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা একজোটেই লড়াই করেছিলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মহিষাদলে বিজেপি-র ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি বৃহস্পতি মাজি বলেন, "শাসক দলের দুর্নীতিকে রুখতে, সমবায়কে বাঁচাতে এখানকার মানুষেরা জোট করেছে। এটা মানুষের জোট। এখানে ডানও আছে, বামও আছে। বিজেপি-সিপিএম সমস্ত মানুষ রয়েছে।"
জগৎপুর শীতলা সমবায় সমিতির জয়ী প্রার্থী প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা তৃণমূলকে রাজি করাতে পারলাম না, তারা বেড়িয়ে গেল। সমিতির সদস্যরাই তো ভোটার, তাদের রায় ছিল ওরা যদি বেড়িয়ে যায়, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি, সবাই মিলে জোটবদ্ধ হোন।"
যদিও, বিরোধীদের এই জয়কে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে। তবে মানুষ তৃণমূলেরই সঙ্গে রয়েছে। একই সঙ্গে বাম-বিজেপি, দুই দলকেই কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর দাবি, এতেই প্রমাণিত হয় যে, এদের একার জেতার ক্ষমতা নেই।
বিরোধীদের এই জয়কে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল
সম্প্রতি, নন্দকুমারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বাম-বিজেপি জোট তৃণমূলকে গো-হারা হারিয়েছিল। এ বার, কার্যত তারই পুনরাবৃত্তি হল, পূর্ব মেদিনীপুর জেলারই মহিষাদলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটা কী নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিত? উঠছে প্রশ্ন।