ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর : সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের অভিযোগে এখন উত্তপ্ত বঙ্গ। এবার সেই ধরনেরই আরেকটি অভিযোগ এল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর থানা এলাকার কোটবাড় গ্রাম থেকে।

'মারধর করা হয় তৃণমূল নেতার স্ত্রীকেও'
 চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে । এই অভিযোগ নিয়ে গ্রামে ছড়িয়েছে  উত্তেজনা । চাকরিপ্রার্থীরা টাকা ফেরত না পেয়ে নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। জানা গিয়েছে, তারা বাড়ি ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ, মারধর করা হয় তৃণমূল নেতার স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যাকে । দাবি, পরিবারের লোকদেরও গাছে বেঁধে মারধরও করা হয়। বর্তমানে বাড়ি ঘেরাও করে চলছে বিক্ষোভ-ধর্না !


প্রাথমিক শিক্ষক-সহ সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
জানা গিয়েছে, শিক্ষকের চাকরি ছাড়াও নানারকম সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাকি টাকা আদায় করেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার স্বামী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক-সহ সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছর পাঁচেক আগে টাকা তোলা শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী শিবশঙ্কর নায়েক।


অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা পলাতক। এ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 

এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও এমন অভিযোগ ওঠে।সম্প্রতি  ভাঙড়ের এক অভিযোগকারী  নিজেকে প্রতারিত দাবি করে বলেন, তাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে এক স্কুল শিক্ষক।  কিন্তু চাকরি পাননি তিনি। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগের কথা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন ভাঙড়ের স্কুল শিক্ষক নুরউদ্দিন বৈদ্য । তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ২০১৩ সাল থেকে ১ কোটি টাকারও বেশি তুলেছিলেন তিনি। 


অন্যদিকে বিডিও অফিসের কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে হাওড়ায়। টাকার বিনিময়ে খাদ্য দফতরে চাকরির টোপ দেওয়া হাওড়ার ডোমজুড়ের বাসিন্দাকে হাতেনাতে ধরলেন দুই মহিলা। ডোমজুড় বিডিও অফিসার বাইরে করা হল মারধরও! শেষে বিডিওর নির্দেশে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।