সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাজে লেগেছিল ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচি। পুরভোটের আগে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই এ বার পুরুলিয়ায় (Purulia Municipal Election) প্রচারে নামতে চলেছে তৃণমূল (TMC)। তবে সামান্য রদবদল ঘটানো হয়েছে তাতে। ‘দুয়ারে সরকার’-এর পরিবর্তে ‘দুয়ারে পৌর প্রশাসক’ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের মন জয়ের চেষ্টা চলছে।
এই কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে যেতে শুরু করেছে পুরুলিয়া পৌর বোর্ড। তার আওতায় পুরুলিয়া শহরের ২৩টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্রত্যেক পাড়ায় গিয়ে চটজলদি এলাকাবাসীর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে তারা। কার্যত দুয়ারে দুয়ারে গিয়েই যাবতীয় অভাব অভিযোগ শুনছেন পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দল ছাড়ার এক বছর পূর্ণ, কাঁথিতে মিষ্টি বিলি তৃণমূলের
তবে শুধুমাত্র ভোটের আগে কেন জনগণের অভিযোগ শোনার তাগিদ দেখা দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া পুরসভা এত দিন উদাসীন ভূমিকাই পালন করেছে। নানা সমস্যা নিয়ে ছুটে গেলেও পরিষেবা পাননি সাধারণ মানুষ। ভোট এগিয়ে আসছে বলে এখন মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। শুধু ভোটের আগে নয়, সারাবছর যাতে মানুষ সঠিক পরিষেবা পান, সব রাজনৈতিক দলেরই তা নিশ্চিত করা উচিত বলে দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের একটাই দাবি, ভোটের আগে শুধু মনজয় করতে নেমে পড়লে চলবে না। সারা বছরই মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে নজর দিতে হবে।
তবে পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসক নবেন্দু মাহালি বলেন, “দুয়ারে সরকারের মতোই দুয়ারে পৌর প্রশাসক কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকাবাসীর সমস্যা দূর করাই আমাদের লক্ষ্য।” কিন্তু তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পুরুলিয়া শহরের বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। শহরে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডল সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারীর কথায়, “পুরভোটের মুখে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই ধরনের কর্মসূচি ভাঁওতা ছাড়া কিছু নয়।”