অর্ণব মুখোপাধ্যায়, ঝালদা: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদার (Jhalda) নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর (Tapan Kandu) সঙ্গীর রহস্যমৃত্যু (Mystery Death) ঘিরে উত্তেজনা। বাড়ি থেকে উদ্ধার নিরঞ্জন বৈষ্ণব নামে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ (Hanging body)। সুইসাইড নোটে (Suicide Note) পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।
পুলিশের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী, দাবি পরিবারের
পরিবারের দাবি, তপন কান্দুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন নিরঞ্জন। খুনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের (Congress Councillor) সঙ্গে হাঁটতেও বের হন। অভিযোগ, তপন কান্দু খুন হওয়ার পর পুলিশ নিরঞ্জনকে বারবার ডেকে পাঠিয়ে নির্যাতন শুরু করে। ফলে আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। পুলিশের চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী (Suicide) বলে পরিবারের দাবি।
নিরঞ্জন বৈষ্ণবের সুইসাইড নোট উদ্ধার
নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর সঙ্গী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের সুইসাইড নোট উদ্ধার। পরিবারের দেওয়া সুইসাইড নোটে লেখা, ‘যেদিন তপনের মৃত্যু হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি, তা মাথা থেকে কোনওরকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু এই ঘটনাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বারবার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এইসব আমি আর সহ্য করতে না পারার জন্য এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারও কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম। ইতি নিরঞ্জন বৈষ্ণব (সেফাল)।’
কংগ্রেসের ডাকে ১২ ঘণ্টার ঝালদা বন্ধ
এদিকে, আজ কংগ্রেসের ডাকে ১২ ঘণ্টার ঝালদা বন্ধ। সকাল হতে না হতেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু-সহ মহিলা কংগ্রেস কর্মীরা। ঝালদার আনন্দবাজার এলাকায় শুরু হয়েছে পথ অবরোধ। পাশাপাশি, এলাকায় কংগ্রেস কর্মীদের মিছিল শুরু হয়েছে। বন্ধের জেরে ঝালদা এলাকায় বন্ধ দোকান, বাজার। যান চলাচলও বন্ধ। গতকাল কংগ্রেসের মিছিলে পূর্ণিমা কান্দুর ওপর পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগে আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ঝালদা বন্ধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।