আবীর দত্ত, মুর্শিদাবাদ : কারাগারে কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের মতো করে রাখা হয়েছে কুদ্দুস আলিকে (Kuddush Ali) ! রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করার পর বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতির মুখে কার্যত শোনা গেল 'দ্য রানিনগর ফাইলসের' বর্ণনা।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানায় ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর ও তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায়, কংগ্রেস ও বামেদের নেতা কর্মী-সহ ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস পরিচালিত রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিও। তাঁর গ্রেফতারির পরদিনই, তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। যার ফলে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তৃণমূল। আর কুদ্দুস আলি হেফাজতে থাকাকালীন, সোমবার একটি ভাইরাল ভিডিওতে বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা যায় তাঁর মুখে। কুদ্দুসের অভিযোগ, আমি বলছি আমাকে প্রশাসন, বড়বাবু চাপ দিচ্ছে যে, তৃণমূলে যোগদান করতে হবে।
তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য, মঙ্গলবার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে লালবাগ উপ সংশোধনাগারে যান অধীর চৌধুরী। কিন্তু সেখানে আইনজীবীর সঙ্গে অভিযুক্তকে ঠিকমতো কথাই বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অধীরের অভিযোগ, 'আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনার দরকার ছিল। সেই আলোচনা এমন হল মনে হচ্ছে আমি কাশ্মীরের কোনও সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে কথা বলছি। যখন আমি একটা এমপি হিসাবে এসেছি, তখন এভাবে গরাদের এই প্রান্তে একজন ওই প্রান্তে একজন, যখন আমি লইয়ার নিয়ে এসেছি। আগাম বলে এসেছি। হঠাৎ করে আসিনি। তাঁদের সঙ্গে আইনি আলোচনা হতে পারে আমার। আমাদের জন্য সেই ব্যবস্থা জেল কর্তৃপক্ষের করা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি।'
বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। বিচারপতির নির্দেশ, যদি ইতিমধ্যে সমিতি গঠন হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলেও ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। এই সময়ের মধ্যে কি জামিন পাবেন রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? নাকি তাঁকে ছাড়াই এগোবে স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন