প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পর এবার বাঁকুড়ার (Bankura) ৭ প্রাথমিক শিক্ষককে (Primary Teachers) তলব। ৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই (CBI)। আগামীকাল নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরার নির্দেশ। গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ৪ প্রাথমিক শিক্ষক। এবার বাঁকুড়া জেলায় চাকরি পেয়েছেন এমন ৭ প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই।                                                 

  


প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের বড়সড় পদক্ষেপ করা হয়েছিল সোমবার। এই প্রথম গ্রেফতার করা হল অযোগ্য শিক্ষককে। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ জন অযোগ্য শিক্ষককে। সোমবার সমন করে, এই ৪ শিক্ষককে আদালতে তলব করা হয়।


তারপর আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করে ৪ জনকে জেলে পাঠান আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। CBI-এর চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে নাম ছিল গ্রেফতার হওয়া এই চার অযোগ্য শিক্ষকের।


কিন্তু টাকা দিয়ে যাঁরা চাকরি কিনেছেন, তাঁদের কেন সাক্ষী হিসাবে দেখানো হয়েছে, আগেই এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বিচারক। এনিয়ে তদন্তকারী অফিসারকে শোকজও করেছিলেন বিচারক। জাহিরাদ্দিন শেখ, সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন এবং সৌগত মণ্ডলকে। ধৃত ৪ জনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা।


আরও পড়ুন, ফের ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, ঠাকুরপুকুরে ট্যাক্সির ধাক্কা বালককে, মাথায় গুরুতর আঘাত


অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের ২৪ পাতার চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য। চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে টাকা নেন তাপস। মোট ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল, এমনটাই সূত্রের খবর। অন্যদিকে, চাকরি বিক্রি করে ৭১ জনের কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি বিক্রি করে মুর্শিদাবাদের ৫ শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন তাপস মণ্ডল। এর মধ্যে ধৃত সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। ধৃত জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে । ধৃত সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই।