প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একসঙ্গে ৩ টি দফতরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই (CBI)। বোর্ডের সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরীক্ষার পর ফল প্রকাশ হয় ২০১৭-য়।


সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৮ সালে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে সেই কমিটির হাতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, ২ বছর পর কেন সেই দায়িত্ব উপদেষ্টা কমিটিকে দেওয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন সিবিআইয়ের। তাহলে কী কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল ? কার নির্দেশে, কোন পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়েছিল, ৩টি দফতরের কাছে এসবই জানতে চায় সিবিআই। 


দিনকয়েক আগেই প্রাক্তন শিক্ষাসচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)। সিবিআই (cbi) সূত্রে দাবি, এর আগে শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে (Manish Jain) জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে প্রাক্তন শিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালার নাম।  ২০১৬-র জুন থেকে ২০১৮-র জুন মাস পর্যন্ত স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব পদে ছিলেন দুষ্মন্ত নারিয়ালা। বর্তমানে তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব পদে রয়েছেন। সূত্রের খবর , তিনি শিক্ষাসচিব থাকাকালীন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)। দুষ্মন্ত নারিয়ালা, শিক্ষা সচিব থাকাকালীনই গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি ও একাদশ-দ্বাদশে বেশ কিছু নিয়োগ হয়। সূত্রের দাবি, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও দুর্নীতি হয়েছিল কি না ? 


প্রসঙ্গত, ইডির দাবি, প্রার্থীদের থেকে টাকা তোলার জন্য় সেখানেই ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্য়বস্থা করা হয়েছিল। আর সেই ইন্টারভিউ হয়েছিল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় থেকে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের তত্ত্বাবধানে। এনিয়ে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। শিক্ষাসচিবের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ২১ জুন ফের মণীশ জৈনকে তলব করে সিবিআই। তবে সেদিন তিনি হাজির হননি। এরমধ্য়েই, এবার প্রাক্তন শিক্ষা সচিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই (CBI)। যারপরই তদন্তে গতি বাড়িয়ে এবার একসঙ্গে ৩ টি দফতরকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।