কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), শান্তিপ্রসাদ সিনহা (S P Sinha), কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দের (Kalyanmoy Ganguly) কোর্টে (Court) পেশ । নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) বাগদার চন্দন মণ্ডল-সহ ১৩জনকেও কোর্টে পেশ আজ। প্রসঙ্গত, শান্তিপ্রসাদ সিনহার সন্তোষপুরের ফ্ল্যাট থেকে রাশি রাশি টাকা, সোনা, চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা উদ্ধার করেছে সিবিআই।
প্রেক্ষাপট...
গত কালই শান্তিপ্রসাদ সিন্হার বাড়ি থেকে দেড় কেজি সোনা, ৫০ লক্ষ টাকার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এস পি সিন্হার বাড়ি থেকে দেড় কেজি সোনার হদিশ মেলায় হইচই পড়ে যায়। একই জায়গা থেকে ৫০ লক্ষ টাকারও হদিশ মেলে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। এতেই শেষ নয়। রয়েছে অন্য একজনের নামে সন্তোষপুরের ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগও। 'বেনামে' শান্তিপ্রসাদের ফ্ল্যাট, দেড় হাজার প্রার্থীর তালিকাও পাওয়ার দাবি উঠে এসেছে সিবিআই সূত্রে। নিয়োগ দুর্নীতিতে আপাতত জেলবন্দি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা।
এত দিন যা হয়েছে...
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত জানুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সামনে এনেছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন খুঁজে বার করতে সিবিআইকে পরামর্শ দেন তিনি।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁর মন্তব্য, 'অযোগ্যদের নিশ্চয়ই ভালোবাসার বশবর্তী হয়ে চাকরি দেওয়া হয়নি !' তারপর সিবিআইকে তিনি প্রশ্ন করেন, 'কতদিন জেলবন্দি করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন?' সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে CBI। ঠিক তার ৪ দিনের মাথায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন SSC’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। দুজনেই এখন জেল হেফাজতে রয়েছেন। বিচারপতি এদিন বলেন, দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা জানতে চাই। তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, 'কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে? কতজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে? চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবাসার কারণে দেওয়া হয়নি', মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির। তবে এই গোটা দুর্নীতির তদন্তে সকলের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি-র হাতে সেই গ্রেফতারির পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তার পর তদন্তের সূত্রে একে একে আরও অনেকের নাম জড়িয়েছে এই তদন্তে।
আরও পড়ুন:তৃণমূলের কি হাতছাড়া হবে সাগরদিঘি ? বেশ কিছুটা এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী