সুজিত মণ্ডল, বগুলা: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মিছিল নদিয়ার বগুলায় (Nadia Rally)। মোমবাতি মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হলেন বগুলার বাসিন্দারা। তাতে পা মেলান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন। বগুলা কলেজ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যায় মিছিল। মিছিল শেষে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এদিনই আবার 'যাদবপুর বাঁচাও' মিছিল করবে বিজেপি। (BJP)
মিছিল করবে বিজেপি...
বিজেপির মিছিলটি দুপুর আড়াইটেয় গোলপার্ক থেকে শুরু হওয়ার কথা। যাওয়ার কথা যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। সামনের সারিতে থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। থাকবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দুপুর ১টায় যাদবপুর ইস্যুতে মিছিল করবে এবিভিপিও। যেহেতু বিজেপির যুব মোর্চার তরফে এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাই মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। হালেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur Univeristy student death) ঘটনায় যে Ragging-এর অভিযোগ উঠেছিল, তারই প্রতিবাদে আজকের মিছিল। প্রসঙ্গত, পড়ুয়া মৃত্যুর পর, গত ১৭ অগাস্ট, বিকেলে প্রথমে বিজেপির যুব মোর্চার সভার সভা থেকে হুঙ্কার দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরই যাদবপুরের এইটবি বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এর পর যখন শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি ঘুরিয়ে যাদবপুর থানার দিকে এগোতে শুরু করেন, সেই সময় ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান বেশ কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু-র কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেন বলে অভিযোগ। একপ্রস্ত অশান্তি হয় সেই সময়।
ইসরোর দ্বারস্থ রাজ্যপাল...
যাদবপুরের ঘটনার পর রাজ্যের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ছবি উঠে এসেছে। এবার সেই সব রুখতে ইসরোর দ্বারস্থ হলেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে আগেও যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল। এদিন মালদার ট্রেনে বসেই ফোন করেন এস সোমনাথকে। এবিষয়ে ইসরো প্রযুক্তিগত সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও খবর রাজভবন সূত্রে। এদিন এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, উন্নত মানের প্রযুক্তি ক্যাম্পাসে র্যাগিং রুখতে সাহায্য করবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার মর্মান্তির মৃত্যুর পর একের পর এক পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল। ঘটনার পরে যাদবপুরের মেন হস্টেলেও যান তিনি। সন্তানহারা বাবাকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশও করেন। এবার সাহায্য়ের আর্জি ইসরোর কাছে।