কলকাতা : একদিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে লাগাতার অবস্থানের ডাক দিয়েছেন জুনির চিকিৎসকরা। দাবি পূরণের জন্য রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন। তা পূরণ না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এই আবহে নিহত তরুণী চিকিৎসকের দেহের আঘাত প্রসঙ্গে 'ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন' অনুষ্ঠানে এসে বিস্ফোরক দাবি করলেন আর জি করের মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিক। প্রশ্ন তুললেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েই। RG Kar News


তিনি বলেন, "এই আন্দোলনটা হওয়ার একটা বড় কারণ, কলকাতা পুলিশ প্রথম থেকেই বলছে সঞ্জয় রায় অভিযুক্ত। স্মদারিং অ্যান্ড ম্যানুয়াল স্ট্র্যাঙ্গুলেশন...এগুলো আমরা পড়েছি। এটা কোনওভাবেই ন্যূনতম চারজনের কমে হওয়া সম্ভব নয়। পোস্ট মর্টেমের গাফিলতি..দেখুন...অনেক কিছু প্রকাশ না করা গেলেও একটা জিনিস আপনাকে বলতে পারি...একটা ছবি আমি দেখেছি। সেই ছবিটাতে যে জিনিসটা দেখেছি, সেটা আরও ভয়ঙ্কর। এখানে লেখা আছে নো ফ্র্যাকচার, নো ডিসলোকেশন...আমি বলছি যে ছবিটা দেখেছি সেখানে দুটো পায়ের অ্যাঙ্গেল প্রায় ৯০ ডিগ্রি। এটা সম্ভব নয়...উইদআউট...যখন ডেলিভারি হয় গাইনকোলজিস্টরা করেন...লিথোটমি পজিশন...তখনও এরকম অ্যাঙ্গল হওয়া সম্ভব নয়। এর অর্থ, পেলভিক এখানে হয় ডিসলোকেশন আছে বা ফ্র্যাকচার আছে। কিন্তু, রিপোর্টে বলছে...নৌ ডিসলোকেশন, নৌ ফ্র্যাকচার। তার কারণ হচ্ছে, আরজি করে পোস্ট মর্টেমে আমা যতদূর জানি কোনও এক্স রে হয় না। আমার কাছে একজন আইনজীবী যিনি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করেছেন, তিনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। এই পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট...এই একই পয়েন্টগুলো আমি বলেছিলাম যে, এক্স রে করা হয়েছে কি না। সেটা চাওয়া হোক। আর এই ৯০ ডিগ্রি অ্য়াঙ্গেল কী করে তাঁরা বলেন ?"


একাংশ সিনিয়র চিকিৎসক আবেদন জানিয়েছিলেন। পুনরায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখতে বলেছিলেন। এমনকী এও পরমর্শ দিয়েছিলেন যে, আন্দোলনের কৌশল বদলাতে। তারপর থেকেই একটা জল্পনা ছিল। হয়ত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেইমতো এবার আন্দোেলন প্রত্যাহার করে নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে একথা ঘোষণা করলেন চিকিৎসক দেবাশিস হালদার। তিনি বলেন, "গতকাল জিবি করে ঠিক করেছি যে, আমরা আজ থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। সম্পূর্ণ রূপে প্রত্যাহার করছি। এটা যদি কেউ মনে করে থাকেন যে রাজ্য সরকার ভয় দেখাচ্ছে, রাজ্য সরকার ভাবছে আমাদের পাশে জনগণ নেই...তাহলে আমরা ভয় পেয়ে কর্মবিরতি তুলছি...তাঁরা ভুল ভাববেন। আসলে জনগণ আমাদের পাশে আছে এবং আমরা যে একই পক্ষ এটা বোঝানোর জন্য আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি...কিন্তু তার সাথে সাথে আমরা তীব্রতর আন্দোলন করছি। কী করছি ? আজ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, এই ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে ওয়েস্টবেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিচ্ছি। এখানে আমরা বসে থাকব। আমরা কাজে ফিরছি। আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই, আমরা কাজও করছি, আবার ন্য়ায়বিচারের দাবিতে রাস্তাতেও আছি। সেই রাস্তাটা হচ্ছে এই জায়গা ।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।