কলকাতা : 'OC-র কোনও দোষ নেই। উনি ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে যা করার করেছেন। এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস।' টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক। এদিন কলকাতা পুলিশের তিন আইপিএস অফিসার অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে যান।


বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এক আধিকারিক বলেন, 'আমি যতটুকু জানি, ওসির কোনও দোষ নেই। যেটুকু আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস আছে, যেটুকু উনি করেছেন ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে করেছেন। খবর পাওয়ার পর উনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনি ওখানে যান। ওখানে সব দাবি মেনে সুবিচারের স্বার্থে তদন্তের স্বচ্ছতার জন্য যা কিছু করার উনি ওখানে করেন। এটাই ওঁর কাজ ছিল। উনি ভালভাবে কাজটা করেছেন। এটাই আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস। কলকাতা পুলিশ ওঁর সঙ্গে আছে।'


সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া টালা থানার ওসি-র বাড়িতে এদিন যায় কলকাতা পুলিশ। ডিসিপি-র নেতৃত্বে অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিশের তিন আইপিএস অফিসার। ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর জি কর-কাণ্ডে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে টালা থানার ওসির। গত পরশু তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।


কিন্তু, আচমকা কেন টালা থানার ওসির বাড়িতে কলকাতা পুলিশ ? 


এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে আসা কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, 'আজ এখানে এসেছি আরও দুই সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে । এখানে অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল-সহ তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য এসেছি। আমরা মূলত এসেছি, ওঁকে আমাদের সমর্থন জানানোর জন্য। কারণ, কলকাতা পুলিশ একটা পরিবার। অভিজিৎ মণ্ডল সেই পরিবারের সদস্য। ওঁর যখন এরকম একটা সমস্যা হয়েছে, কলকাতা পুলিশ ওঁদের সঙ্গে থাকবে। ওঁদের যা সাহায্য লাগবে আমরা তার সব দেব। এটাই ওঁকে বলতে এসেছি আজ।'  


আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় কেন গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে ? সিবিআইয়ের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে মৃত্যু ঘোষণা এবং দেরিতে FIR দায়ের করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির সন্দেহ, এর ফলে নৃশংস অপরাধের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, ধৃতদের উদ্দেশ্য ছিল এই ঘটনায় কোনও মূল অভিযুক্ত বা সহ অভিযুক্ত থাকলে, তাদের আড়াল করা, সেই জন্যই এই কাজ করা হয়েছে। যা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৩৮ ধারা (তথ্যপ্রমাণ লোপাট), ১৯৯ ধারা (সরকারি কর্মী হয়ে আইন অমান্য করা ও ৬১(২) ধারা (ষড়যন্ত্র) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ধারার সঙ্গে এই ধারাগুলি জুড়ে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার OC অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই।