ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন-বিতর্কের পর এবার নির্দিষ্ট একটি সংস্থার ইঞ্জেকশন বন্ধের সিদ্ধান্ত। অপর একটি সংস্থার ইঞ্জেকশন বন্ধের সিদ্ধান্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের। ভিশন পেরেন্টাল প্রাইভেট লিমিটেডের ফ্লুইড মেডিসিন ইঞ্জেকশন ম্যানিটল সাধারণত স্ট্রোকে আক্রান্তদের প্রয়োগ করা হয়।
চিকিৎসকদের কাছে এই ইঞ্জেকশন নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া মেলায় হাসপাতালের সমস্ত বিভাগেই এর ব্যবহার বন্ধ, এমনটাই খবর হাসপাতাল সূত্রে। আগাম সতর্কতা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আর জি কর কাণ্ডের পর স্যালাইন কাণ্ডেও প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য প্রশাসন। আর তা নিয়ে কাটাছেঁড়ার আবহে ফের চিকিৎসকদের রোস্টার তলব করেছে স্বাস্থ্য দফতর। চাওয়া হল সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের এক মাসের রোস্টার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের উপস্থিতি যাচাই করতে আচমকা পরিদর্শনেও যাবে বিশেষ দল।
সম্প্রতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু ও তিনজন প্রসূতির সঙ্কটজনক হয়ে পড়ার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠে এসেছে নিম্নমানের স্যালাইন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা সত্ত্বেও, কালো তালিকাভুক্ত সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি নিম্নমানের রিঙ্গার ল্যাকটেট কীভাবে সরকারি হাসপাতালে দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের বড় অংশ। যদিও প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের দোষই দেখছে রাজ্য সরকার।
স্যালাইনকাণ্ডের আবহে এবার স্বাস্থ্য দফতরের নজরে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে হাসপাতালকে ওষুধ না দিলে ন্যায্য মূল্যের দোকানকে শো-কজ করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, ওষুধ ও স্যালাইনে প্রতিনিয়ত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে