সাগরদিঘি : সাগরদিঘিতে সপ্তম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। ৮০০০-রও বেশি ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। পিছিয়ে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ফলাফল সামনে আসতেই আত্মবিশ্বাসী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নয়', এই মন্তব্য করে আগাগোড়া বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। তার পাশাপাশি সাফল্যের পেছনে বাম নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না।


অধীর বলেন, "এই নির্বাচনে কংগ্রেস-বাম আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিলাম। আমাদের এই নির্বাচনে তৃণমূলের একটা অংশের সমর্থন অর্জন করতে সমর্থ হয়েছি। আমার মনে হয়, কৌশলগত কারণে অনেক বিজেপি সমর্থকও ভোট দিয়ে থাকতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রার্থী বায়রন সাধারণ মানুষের প্রার্থী হয়ে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয়বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং মানুষকে ভোট দেওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করাটা এই নির্বাচনে জয়ের অন্যতম কারণ। আমার একটাই কথা, এই নির্বাচন প্রমাণ করল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নয়। তাঁকে পরাজিত করা যেতে পারে। টিএমসিকে বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করব। কংগ্রেস, বাম এবং অন্যান্য সমস্ত সঙ্গী দল মিলে।" 


তাহলে জোটই কি আগামীদিনের ফর্মুলা ?


এই প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "একশোবার। আমরা বরাবরই চেয়েছি। বামেদের সঙ্গে আমরা কখনো জোট বিচ্ছিন্ন করিনি তো। ২০১৬ সাল থেকে আমরা একই কথা বলে আসছি। সিপিএমের মাঝখানে মনে হয়েছিল, জোটের দরকার নেই, তাই তারা সরে গিয়েছিল। আমরা সরিনি। আমি বিমানবাবুকে নির্বাচন শুরুর আগে অনুরোধ করেছিলাম। উনি তাতে সাড়া দিয়ে সমর্থন করেছেন। তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাই। মহম্মদ সেলিম আমাকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছিলেন। তাঁরা প্রচারে এসেছিলেন। বোন মীনাক্ষী প্রচারে এসেছিলেন। সিপিএমের বহু বড় বড় নেতা এখানে প্রচারে এসেছেন। স্বাভাবিকভাবে বায়রন বিশ্বাসের জয়ের পিছনে কংগ্রেস, তার সঙ্গে বামেদের সমর্থন এবং তৃণমূলের একটা অংশ আমাদের সমর্থন করেছেন। গতবার আমি বলেছিলাম, কংগ্রেস হারতে পারে। হারিয়ে যাবে না। আজ প্রমাণ হয়েছে, কংগ্রেস হারিয়ে যায়নি। কংগ্রেস হারাতে পারে, তাড়াতে পারে। তৃণমূলকে বাংলা থেকে হারাব এবং তাড়াব।"


প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাম ও কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই বিধানসভায়। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের হাত ধরে সেই খরা কি কাটাতে পারবে কংগ্রেস ? না, নিজেদের আসন ধরে রাখবে তৃণমূল ? '২১-এর বিধানসভা ভোটে মুর্শিদাবাদে চমক দেওয়া বিজেপি কি এবারও কোনও চমক দেবে ? উত্তর মিলবে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই।