অর্ণব মুখোপাধ্যায়, শিবাশিস মৌলিক, সল্টলেক: সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস? সল্টলেকের এ-ই ব্লকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জমিতে তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগ। ‘পার্টি অফিস নয়, অস্থায়ী ঘরে দলীয় কাজে ব্যবহৃত জিনিস রাখা হয়’ বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। ‘প্রশাসনের সাহায্য়ে জমি দখল করে পার্টি অফিস, এ রাজ্যে এটাই স্বাভাবিক’, কটাক্ষ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। জমি দখল করে অফিস তৈরি, দল সমর্থন করে না, মন্তব্য পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রীর।
সল্টলেকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস করার অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, পার্টি অফিস নয়, দলীয় কাজকর্মে ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হচ্ছে অস্থায়ী ঘরে। জমি দখল করে অফিস তৈরি, দল সমর্থন করে না। বললেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সল্টলেকের AE ব্লকের এই জমি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের। অভিযোগ, এখানেই অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক!
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জমির পাশেই রয়েছে গ্রিন ভার্জ। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগে সেখানে ছিল তাদের পার্টি অফিস। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য, সরকারের তরফে সেটিকে সরাতে বলা হয়। দীর্ঘ ৬ মাস পর সম্প্রতি পার্টি অফিসটিকে সরিয়ে, পাশের এই সরকারি জমিতে তৈরি করা হয়।
এই জায়গাটি, বিধাননগর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। যেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর হলেন সব্যসাচী দত্ত। যিনি আবার পুরসভার চেয়ারম্যান।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, মন্ত্রী সুজিত বসুর নেতৃত্বে তাঁরা গ্রিন ভার্জ থেকে পার্টি অফিস সরিয়েছেন। তবে নতুন যে অস্থায়ী ঘরটি তৈরি করা হয়েছে, সেটি পার্টি অফিস নয়, দলের কাজে ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র রাখা হয়েছে মাত্র।
পার্টি অফিস সরানো কথা জানেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী। তবে সেটি তাঁর দফতরের জমিতে সরিয়ে আনা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কার্যত অন্ধকারে ফিরহাদ হাকিম। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের দল কোনও সরকারি জমির উপরে পার্টি অফিস, দখল করে পার্টি অফিস অনুমোদন করে না।। তারপরেও আছে কিন্তু দল অনুমোদন করে না, লোকালি হয়। আমার সঙ্গে সরিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল। ছ মাস বাদে সরিয়েছে, কিন্তু কোথায় নিয়ে গেছে জানি না।
সরকারি জমিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পার্টি অফিস করার অভিযোগ ওঠায়, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। সোমবার, এলাকায় এসে টিনের অস্থায়ী ঘরটির ছবি তুলে নিয়ে যান সরকারি আধিকারিকরা।