বাঁকুড়া : এখনই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। বাঁকুড়াতেও তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। সঙ্গে দোসর চড়া রোদ। যার জেরে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা জেলার মানুষের।  এই পরিস্থিতিতে আজই সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলল স্কুল। যদিও প্রতিটি স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল হাতেগোনা। যারা স্কুলে আসছে তারাও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবি। কোথাও আবার স্কুলে ছুটি বৃদ্ধির দাবিও উঠছে।


প্রবল দাবদাহে পুড়ছে পশ্চিমের জেলাগুলি। গতকালই বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির কোটা পার করে ফেলে। সঙ্গে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারণে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। দক্ষিণবঙ্গে পিছিয়ে গেছে বর্ষাও। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে স্থায়ী হতে পারে আরও কয়েকদিন। 


এরই মাঝে সরকারি নির্দেশিকা মেনে আজ থেকে খুলে গেল সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলি। স্কুল নিয়ম মেনে খুললেও, প্রবল গরমের জেরে জেলার প্রায় প্রতিটি স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। যে সমস্ত পড়ুয়া এদিন স্কুলমুখী হয়েছিল তাদের কেউ কেউ এদিন অসুস্থও হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক এমনকী শিক্ষকদের তরফে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবি।


এদিকে তীব্র গরম থেকে এখনও স্বস্তি নেই। গলদঘর্ম হয়ে কার্যত নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে রাজ্যবাসী। বৃষ্টিরও দেখা নেই। বাইরে বের হওয়াই কার্যত দুষ্কর হয়ে গিয়েছে। ঘামে জামা-কাপড় ভিজে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবারই ভারতের আবহাওয়া বিভাগ থেকে বলা হল, দেশে সবথেকে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ চলছে। শুধু তা-ই নয়, আগামীদিনে অসহনীয় তাপমাত্রার (Temperature) মুখে পড়তে হবে মানুষকে। মে-র মাঝামাঝি থেকে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ তাপপ্রবাহের কবলে। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাপিয়ে যাচ্ছে। 


এক সাক্ষাৎকারে Indian Express Daily-কে IMD-র প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলছেন, 'সবথেকে দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। কারণ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৪ দিন ধরে তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে।' চলতি সপ্তাহেই বর্ষার বৃষ্টি দেশের উত্তর প্রান্তে এগিয়ে আসায় পারদের মাত্রা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করছেন মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি বলেন, 'যদি আগাম কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে প্রায়ই তাপপ্রবাহ দেখা যাবে। যা হবে স্থিতিশীল এবং তীব্র।'