অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: শিয়ালদা ডিভিশনে বিভিন্ন জায়গায় থমকে রয়েছে রেললাইনের পাশে ফেন্সিং বসানোর কাজ। নেপথ্যে স্থানীয়দের একাংশের বাধা। সম্প্রতি, শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রেলের আধিকারিকদের। সমাধানের খোঁজে এবার রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠাচ্ছে পূর্ব রেল।
দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে ভারতীয় রেল। দুর্ঘটনা এড়াতে এবং দূরপাল্লার ট্রেনের গতিপথ মসৃণ করতে ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত রেললাইনের পাশে ফেন্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। এরাজ্যেও চলছে রেললাইনের পাশে এই সুরক্ষা বেষ্টনী বসানোর কাজ। অভিযোগ, পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে ফেন্সিং বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগোলেও, শিয়ালদা ডিভিশনকে মাঝেমধ্যেই স্থানীয়দের একাংশের বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, বিষয়টিতে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সমাধানসূত্র না মেলায়, এবার রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে রেলের তরফে।
অনেক সময়ই রেল লাইনে গবাদি পশু চলে এলে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পশু-মৃত্যুর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনও। দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন আটকে পড়লে দুর্ভোগ বাড়ে। এসব এড়াতেই রেলপথ সুরক্ষা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শান্তিপুর-কৃষ্ণনগর শাখায় সুরক্ষাবেষ্টনী বসানোর কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে বৃহস্পতিবার, বাধার মুখে পড়েন রেলের আধিকারিকরা। শিয়ালদা ডিভিশনের ডিআরএম এবং পূর্ব রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বেশ কিছু মানুষ। শিয়ালদা ডিভিশনের ডিভিশনাল পার্সোনাল অফিসার একলব্য চক্রবর্তী বলেন, "এটা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর প্রচুর লোক প্রাণ হারান। ট্রেন দেরি হয়। হাজার হাজার যাত্রীর অসুবিধা হয়। আমরা গার্ডরেল, ফেন্সিং করছি।''
হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের রুট বাড়ানোয় আপত্তি। তাই বছরের প্রথম দিনে ট্রেনই আটকে দেন মন্ত্রী। প্রায় দেড়ঘণ্টা সিঙ্গুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার পর, হাওড়ায় ফিরে যায় ট্রেন। ১ জানুয়ারি সকাল ৬টা ৪০-এ তারকেশ্বর লোকাল সিঙ্গুর স্টেশনে পৌঁছতেই মন্ত্রীর নেতৃত্বে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে সামিল হন হরিপালের
বিধায়ক করবী মান্নাও। মন্ত্রীর দাবি, সিঙ্গুর আন্দোলনকে ভুলিয়ে দিতেই সিঙ্গুর লোকালের রুট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা রেল জানায়, বৃহত্তর স্বার্থে সম্প্রসারিত রুটেই ট্রেন চলাচল করবে। ২০০৯ সালে হাওড়া থেকে সিঙ্গুর পর্যন্ত ২টি লোকাল ট্রেন চালু করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ জানুয়ারি থেকে সেই ২টি লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এতেই আপত্তি সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক ও কৃষি বিপণনমন্ত্রী
আরও পড়ুন: Bangladesh: বাংলার ঘাড়ে নিঃশ্বাস বাংলাদেশি জঙ্গিদের! সীমানার ১০০ কিমির মধ্যে জঙ্গি ক্যাম্প