প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে ইডি-র ( ED )  হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের স্ক্যানারে এবার একটি পার্টনারশিপ সংস্থা। ইডি-র দাবি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Shantanu Banerjee ) স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও কুন্তল ঘোষের ( Kuntal Ghosh ) একটি পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ মিলেছে।


ইডি সূত্রে খবর, বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরায় নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থায় আরও ২ জন অংশীদার ছিলেন। এবার তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই সংস্থার মাধ্যমে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির ( Bengal Recruitment Scam ) টাকা এই সংস্থায় ঢুকেছে কি না, সেই সব এবার খতিয়ে দেখবে ইডি।


 এভাবেই পেঁয়াজের খোসার মতো একে একে হদিশ মিলেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা 
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির! শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এসেছে  প্রভাবশালীর যোগ প্রসঙ্গ। শান্তনু দাবি করেছেন, কয়েকজন প্রভাবশালীর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি কাজ করতেন এবং কুন্তলকেও কাজে লাগাতেন।


সেই প্রভাবশালী কারা? কাদের নির্দেশে কাজ করতেন শান্তনু? সেটা কি ED সামনে আনবে? টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরও কেউ কি ইডি-র তদন্তের আওতায় আসবে ? আরও কোনও তারকাকে আগামী দিনে ডাকতে পারেন তদন্তকারীরা? এর আগে, আদালতে দেওয়া রিমান্ড লেটারে ইডি দাবি করেছিল যে, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য, নগদে ১ কোটি টাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন বলে জেরায় দাবি করেছেন কুন্তল ঘোষ।

আরও পড়ুন : সপ্তাহান্তে আজ কতটা সস্তা পেট্রোল-ডিজেল কলকাতায় ?


অন্যদিকে আবার ইডি দাবি করেছে , কুন্তল ঘোষের ২টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। টাকা গেছে টলিগঞ্জের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টেও। শুক্রবার কুন্তলকে আদালতে তুলে এই দাবি করেন ইডির আইনজীবী। ৩০ মার্চ পর্যন্ত কুন্তল ঘোষের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


 কুন্তল ঘোষকে আদালতে তোলা হলে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, ২টো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে, যেখানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। টালিগঞ্জের লোকের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। শর্ট ফিল্ম তৈরির জন্য পার্টনারশিপ ফার্ম তৈরি করেছেন কুন্তল।এই টাকার একটা বড় অংশ, শর্ট ফিল্ম বানানোর জন্য টালিগঞ্জের স্টারদের কাছে গেছে। একজনকে গাড়ি কিনে দিয়েছিল। যাঁর নাম বনি সেনগুপ্ত। তিনি স্বীকার করেন যে ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, গাড়ি কেনার জন্য। সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন বনি সেনগুপ্ত। সোমা চক্রবর্তীও টাকা নিয়েছিলেন। তিনিও ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় জানতেন না এটা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। যখন জানতে পেরেছেন, তখন টাকা ফেরত দিয়েছেন। কুন্তলের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এসেছে, তার কোনও উত্তর নেই।